মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে গাওদিয়া-ঘোলতলী সড়কের বিভিন্ন স্থান ধসে গেছে। সংস্কার না হাওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহনসহ এলাকার মানুষ। উপজেলার গাওদিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড জিএম কবিরের বাড়ি থেকে পালগাঁও পযর্ন্ত ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে এই সড়কের বিভিন্ন স্থান ধসে গেছে এবং পিচ ঢালাইর নিচ দিয়ে মাটি সরে গেছে। ফলে প্রতিদিন চরম আতঙ্কের মধ্যে চলাচল করছে যাতায়াতকারী এলাকার মানুষ। ধসে যাওয়ার কারণে ব্যাটারি চালিত অটো ও রিকশাসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচলে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন শতাধিক মা ও শিশু চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। এছাড়াও এ রাস্তা দিয়ে হাড়িদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, বাজার, ইউনিয়ন পরিষদ, ইউনিয়ন ভূমি, শামুরবাড়ি হাসপাতালসহ রাস্তাটি নদীর নিকটবর্তী যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম। প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজারেরও বেশি মানুষ যাতায়াত করছে। এছাড়াও প্রতিনিয়ত এ রাস্তা দিয়ে শতশত রিকাশা, ভ্যান, ইজিবাইক, ভডভডি, নসিমন, করিমন, মাহেন্দ্রা, সিএনজি, ও কোম্পানির পিকআপ ভ্যানসহ বিভিন্ন রকমের মোটরযান চলাচল করে। বেহাল রাস্তাটি অবিলম্বে সংস্কারের দাবি তুলেছেন স্থানীয় লোকজন। অহেলিত রাস্তাটি নিয়ে অটোরিকশা চালক চালক সাত্তার জানান, মাত্র কিছুদিন হলো রাস্তায় নতুন পিচ ঢালাই করা হয়েছে। ঝড়ের সময় সড়কের নিচে মাটি সরে গেছে। এই রাস্তায় গাড়িতে যাত্রী নিয়ে সর্তক না হয়ে চললে সড়ক ধসে পরে যে কোনও মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। স্থানীয়রা জানান, সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা না হলে জনসাধারণের চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়বে। তাই সড়কটি সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
গাঁওদিয়া ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য তোবারক ঢালী জানান, সড়কের বিষয়ে আমরা উপজেলা পরিষদে জানিয়েছি। আশা করছি ধসেপড়া স্থানগুলো দ্রুত সংস্কার করা হবে।
এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল আউয়াল জানান, এই রাস্তা সম্পর্কে আমরা অবহিত হয়েছি অচিরেই স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের মাধ্যমে সংস্কারের কাজ পরিচালনা করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন