দিনাজপুর অফিস ও হিলি সংবাদদাতা : দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ শালবনকে জাতীয় উদ্যান ঘোষণার ৫বছর পেরিয়ে গেলেও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ আর অর্থ বরাদ্দ না থাকায় মুখ থুবরে পড়ে আছে এখানকার অবকাঠামো নির্মাণসহ সংস্কারের কাজ। স্থানিয়রা বলছেন, প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হলে শালবনটি পর্যটকদের কাছে হতে পারে বিনোদনের আকর্ষণীয় স্থান। এতে একদিকে যেমন সরকারের বিপুল রাজস্ব আয় হবে তেমনি সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থানের। বাড়বে এখানকার জীবন যাত্রার মান। দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে তিন কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত নবাবগঞ্জ শালবন। চরকাই ফরেস্ট রেঞ্জের আওতাধীন শালবনটির আয়তন দেড় হাজার একর। ঘন সবুজে ঘেরা বিশাল এই বনটিতে প্রবেশ করলেই গা শিম-শিম করে ওঠে। আশপাশের জেলা উপজেলা থেকে প্রতিদিন পর্যটকরা আসে এখানকার সবুজে ঘেরা প্রাকৃতিক সুন্দর্য উপভোগ করতে। পর্যটকদের অভিযোগ, শালবনটিকে জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করা হলেও এখানে পর্যটকদের জন্য তেমন কিছুই নির্মাণ করা হয়নি। শালবনটির সাথেই রয়েছে ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ আয়তনের ঐতিহাসিক আসুরার বিল। এটি বনের সুন্দর্যকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলেছে। বিলটিতে বর্ষায় ফোটা শাপলা ফুল আর রং-বে-রংয়ের অতিথি পাখি বাড়তি আনন্দ দিবে এখানকার পর্যটকদের। স্থানীয়রা বলছেন, বনটির প্রাকৃতিক সুন্দর্যকে কাজে লাগানো গেলে এটি পর্যটকদের কাছে যেমন আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে পরিণত হবে সেই সাথে সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থানের। বাড়বে এখানকার জীবন যাত্রার মান। পর্যটনের অপার সম্ভাবনাকে বিবেচনা করে ২০১০ সালে শালবনটিকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করে সরকার। গত পাঁচ বছরে এখানে সিমেন্টের তৈরি দুই-তিনটি চেয়ার ছাড়া আর তেমন কোন অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়নি। গাজী মনিরুজ্জামান, রেঞ্জ কর্মকর্তা, চড়কাই বন বিভাগ জানান, প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় উদ্যানে কাজ শুরু করতে পারছেন না তারা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন