অবিভক্ত ঢাকার সর্বশেষ মেয়র, বরেণ্য রাজনীতিবিদ, গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকার ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৯ সালের এই দিনে তিনি নিউ ইয়র্কের ম্যানহটনের ¯েøায়ান কেটেরিং ক্যান্সার সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ঢাকার জনপ্রিয় এই রাজনীতিবিদের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ বেলা সাড়ে ১০টায় জুরাইন কবরস্থানে মরহুমের কবর জিয়ারত ও বাদ আসর গোপীবাগস্থ সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে মিলাদ ও দোয়া-মহাফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
সাদেক হোসেন খোকা ১৯৫২ সালের ১ মে মুন্সিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। গেরিলা যোদ্ধা হিসেবে তার খ্যাতি রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর করেন তিনি। আশির দশকে বামপন্থি রাজনীতি ছেড়ে আসেন বিএনপিতে। ওই সময় নয়াবাজার নবাব ইউসুফ মার্কেটে বিএনপির কার্যালয় থেকে এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সূচনা করে সাতদলীয় জোটের নেতৃত্ব দেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ওই অন্দোলনে ঢাকা মহানগর সংগ্রাম পরিষদের আহŸায়কের দায়িত্ব পেয়েছিলেন খোকা। ১৯৯০ সালে বাবরি মসজিদ ভাঙাকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকায় হিন্দু স¤প্রদায়ের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে পুরান ঢাকার মানুষের মনে আস্থার জায়গা করে নেন। ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-৭ আসনে (সূত্রাপুর-কোতোয়ালি) শেখ হাসিনাকে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হয়ে আলোচনায় আসেন। এ সময় তিনি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে ঢাকার আটটি আসনের মধ্যে সাতটিতে বিএনপি প্রার্থী পরাজিত হলেও একমাত্র খোকা নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে মৎস্য ও পশুসম্পদমন্ত্রী হন। ওই সময় পুরান ঢাকায় বিএনপির রাজনীতিতে নিজস্ব বলয় তৈরির পাশাপাশি প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ডে দলকে শক্তিশালী করার পেছনে তার গুরুত্বপ‚র্ণ ভূমিকা ছিল। খোকাকে ১৯৯৬ সালে মহানগর বিএনপির আহŸায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়। ২০০২ সালের ২৫ এপ্রিল অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তিনি মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১১ সালের ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি ঢাকার মেয়র ছিলেন।
তরিকুল ইসলামের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী: এদিকে একই দিনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৮ সালের এই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেন। সাবেক এই মন্ত্রীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা ও যশোরে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন