শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

তিন বছরেও রক্ষা হয়নি প্রতিশ্রুতি

প্রকাশের সময় : ২০ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বাকৃবি সংবাদদাতা : ২০১৩ সালের ১৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রæপের সংঘর্ঘে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় পার্শ্ববর্তী বয়রা গ্রামের শিশু রাব্বি (১০)। তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্ষতিপূরণ হিসেবে নিহত রাব্বির বাবা, মা ও বড় ভাইকে চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রæতি প্রদান করে। কিন্তু বিগত ৩ বছরে শুধু রাব্বির মায়ের স্থায়ী চাকরি হলেও বেতন আটকে আছে। ভিসি পরিবর্তন হওয়ায় বাকিদের চাকরি পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। জানা যায়, রাব্বির বাবা দুলাল মিয়াকে পরিবহন শাখায় এবং মা মিনারা খাতুনকে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে মাস্টাররোলে চাকরি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু ওই সময়ে রাব্বির ভাইয়ের বয়স ১৮ বছর না হওয়ায় তাকে চাকরি দেয়নি প্রশাসন। গত বছরের ফেব্রæয়ারিতে রাব্বির মায়ের চাকরি স্থায়ী করা হলেও নতুন ভিসির দায়িত্ব নেয়ার পর তদন্ত কমিটির সুপারিশে বিজ্ঞাপনবহির্ভূত নিয়োগের কারণ দেখিয়ে রাব্বির মায়ের নিয়োগ বাতিল করে প্রশাসন। এ বিষয়ে নিহত রাব্বির মা জানান, নিয়োগ স্থায়ী হওয়ার পর থেকে বেতন পাচ্ছেন না। প্রায় এক বছর ধরে বেতন ছাড়াই চাকরি করছেন তিনি। রাব্বির বাবা দুলাল মিয়া জানান, চাকরি দেয়ার নাম করে বিভিন্ন কায়দায় ছেলে হত্যার মামলা তুলে নিতে বাধ্য করে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রশাসন। মামলা তুলে নেয়ার পরও আমার চাকরি স্থায়ী করছে না। স্ত্রীর বেতনও আটকে রেখেছে। বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল মালেক জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কথা আর কাজের কোনো মিল নাই। নিহত রাব্বির পরিবারের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় যা করছে, তা অমানবিক। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর বলেন, রাব্বির মায়ের স্থায়ী নিয়োগটি নিয়ে আগের ভিসি ঝামেলা করেছিলেন বলেই বিষয়টি সুরাহা করতে সময় লাগছে। তবে তাকে মাস্টাররোলের বেতন দেয়ায় তিনি তা নিচ্ছেন না। আর রাব্বির বাবার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট শাখায় শূন্যপদ থাকা সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৬ জানুয়ারিতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শামসুদ্দিন আল আজাদ গ্রæপের সাথে সাধারণ সম্পাদক রফিকুজ্জামান ইমন গ্রæপের টানা চার দিনব্যাপী সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় শিশু রাব্বি। পরদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (জিটিআই) সংলগ্ন মাঠে রাব্বির জানাজায় তৎকালীন ভিসি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল হক রাব্বির পরিবারের তিনজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রæতি দেন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন