নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক শিক্ষক আলহাজ মো. জুলফিকার রহমান (হেলাল) ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবি পরিবারের। গত শনিবার রাতে শহরের একটি হোটেলে সাংবাদিকদের সামনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান শিক্ষক হেলালের ছেলে সাদমান আজিজ। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন স্ত্রী মেহেরুন নেছা, বড় মেয়ে সাজিয়া জাফরিন ও ছোট মেয়ে সিলভিয়া ফারহিন।
লিখিত বক্তব্যে ছেলে সাদমান আজিজ বলেন, আমার বাবা মো. জুলফিকার রহমান (হেলাল মাস্টার) সৈয়দপুর উপজেলার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে সততা, নিষ্ঠা ও সুনামের সহিত শিক্ষকতা করে অবসর গ্রহন করেন। অবসর পরবর্তী সময়ে আমার বাবা নামাজ বন্দেগীতেই ব্যস্ত থাকেন এবং ছোট পরিসরে কাঠের ব্যবসা করে থাকেন।
গত ২ নভেম্বর সকাল ৯টার দিকে বাঙালিপুর নিজপাড়ায় বাবার চাচা শশুড় মো. আজিজুল ইসলামের কাছে ক্রয়কৃত দুটি গাছ কাটার জন্য শ্রমিকদের নিয়ে তার বাসায় জান। শ্রমিকরা গাছ কাটা শুরু করলে তার কন্যা ইষা ইবনাত (২২) অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। বাবা তাকে বলে আমি তোমার বড়, আমার সাথে এমন আচরন করছো কেন। তার পরেও ইষা ইবনাত খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এসময় উপস্থিত লোকজনের পরামর্শে বাবা সেখান থেকে চলে আসে।
ঘটনার পরে ইষা ইবনাত তার মা ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষিকা মাহাবুবা শারমিন ও মো. জাহিদুল ইসলাম (খোকন) কে সঙ্গে নিয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা করে।
বাঙ্গালীপুর নিজপাড়ার মৃত ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে মো. জাহিদুল ইসলাম (খোকন) আমার মায়ের কাছে এসে জানায়, দুলাভাইয়ের নামে মামলা হয়েছে ১ লাখ টাকা দিলে তাকে মামলা থেকে বাঁচায় দেব। এছাড়াও আমার বাবার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। আমার মা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
আমার বাবা সম্পূর্ন নির্দোষ ও ষড়যন্ত্রের শিকার। আপনাদের মাধ্যমে আমরা আবার বাবার ন্যায় বিচার চাই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন