শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়ে মুখরিত শিমুলিয়াঘাট

মো. শওকত হোসেন, লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) থেকে | প্রকাশের সময় : ৮ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

পদ্মা সেতু ঘিরে হাজারো দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়ে মুখরিত লৌহজংয়ের শিমুলিয়াঘাট। গত ২২ দিন ইলিশ রক্ষা অভিযানের সময় হোটেলগুলোতে ইলিশ বিক্রি নিষিদ্ধ থাকায় ঘাট এলাকায় দর্শনার্থীদের আনাগোনা কম ছিল। পদ্মায় ইলিশের অভিযান শেষ হওয়ার পর আবার জমে উঠেতে শুরু করেছে শিমুলিয়া ঘাট। পদ্মার ইলিশের স্বাদ নিতে ও পদ্মা সেতু দেখতে মাওয়ার পদ্মার পাড়ে ছুটে আসছে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থী। তাই ছুটির দিনগুলোতে বিকেল থেকে পদ্মা সেতু দেখতে মাওয়া প্রান্তে পর্যটকের ভিড় বাড়তে থাকে। স্বপ্নের পদ্মা সেতু এক নজর দেখতে দেশের দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছে হাজার হাজার মানুষ।
এসব দর্শনার্থীদের পদচারণায় পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তর ৩ কিলোমিটার জুড়ে পদ্মার তীর ঘেঁষে উৎসবের আমের বইছে। প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থীদের আগমন ঘটছে তাই পদ্মার তীর ঘেঁষে গড়ে উঠেছে হরেক রকমের খাবারের দোকান ও বাচ্চাদের খেলনা সামগ্রী দোকান। পদ্মা সেতু দেখতে এসে পর্যটকরা যেন ভিন্ন স্বাদে আমুদে সময় কাটাচ্ছেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা পদ্মার উত্তাল ঢেউয়ের সঙ্গে মিতালি করে আনন্দে মেতেছেন আগতরা। আগতদের অধিকাংশ পরিবার পরিজন নিয়ে পদ্মা সেতু দেখতে এসেছেন। এছাড়া শিমুলিয়া ঘাটে পদ্মার ইলিশের স্বাদ নিতে এসব হোটেলগুলোতে চলছে বেচা বিক্রির ধুম। হোটেল কর্তৃপক্ষ বিগত দিনের চেয়েও অনেক বেশি পর্যটকের আগমন ঘটেছে বলে তারা মন্তব্য করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, দেশের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকেরও আগমন ঘটেছে। ছুটির দিন ও বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার এই তিন দিনে রাত-দিন সব সময় মানুষের ভিড় থাকে। দেশের দূর-দূরান্তের সব শ্রেনির মানুষের পথ যেন এক হয়েছে মাওয়ায়। ভ্রমণপ্রিয় মানুষ ছুটে এসেছেন পদ্মাসেতুর কাছে মাত্র এক নজর বাস্তব রুপ দেখার আসায়। পদ্মার নীল জলরাশি, ঢেউ আছড়ে পড়ছে তীরে। আর এই ঢেউয়ে আনন্দে মেতেছেন পর্যটকরা। আবার অনেকে মেতেছেন স্পিটবোট ট্রয়লার নিয়ে নদীর বুকে ভ্রমণে। মেতেছে নাচ গান উল্লাশে, ঢাকার বনশ্রী থেকে আসা এক দর্শনার্থী বলেনে, এখানকার ভিউটা বেশ নাইস। ছুটির সময় উপভোগ করতে এখানে এসে খুব ভালো লাগছে।
শিমুলিয়া ঘাটের বারবিকিউ দোকানদার মোশারফ হোসেন বলেন, বিকেল থেকে সারারাত ভোর পর্যন্ত বেচাকেনা চলে। ইদানিং রাত দশটার পর থেকে ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে মোটরসাইকেল ও গাড়িতে করে দর্শনার্থীরা পদ্মার পাড়ে ভিড় জমায় দিনের বেলা থেকে রাতে বেচাবিক্রি বেশি হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন