রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

গৌরিপুর-হোমনা সড়কে জনভোগান্তি

খানাখন্দ ও গর্ত দ্রুত সংস্কার দাবি পথচারি ও যাত্রীদের

মো. আসলাম, তিতাস (কুমিল্লা) থেকে | প্রকাশের সময় : ৯ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

তিতাস, হোমনা, মেঘনা, বাঞ্ছারামপুর, মুরাদনগর ও দেবিদ্ধার উপজেলার জনগন এই গৌরীপুর-হোমনা সড়ক দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করেন। ছোট-বড় গর্তের কারণে থেমে থেমে চলছে যানবাহন আর দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
সড়কটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গৌরীপুর থেকে কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় মিশেছে। উল্লিখিত এলাকাবাসীর জন্য সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সড়ক দিয়ে লাখ লাখ জনগণ প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে থাকেন। এছাড়াও যাত্রীবাহী বাসসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মালবাহী ট্রাক, পিকআপ ভ্যান, লড়ি ও হাজার হাজার সিএনজি চলাচল করে থাকেন। সড়কটিতে খানাখন্দ ও গর্তে সয়লাব। সড়কের এ বেহাল দশার কারণে প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে যাত্রীবাহী যানবাহনসহ মালবাহী গাড়িগুলো। তখন ভোগান্তিতে পরেন যাত্রীরা। সড়কটির তিতাস উপজেলার গাজীপুর থেকে বাতাকান্দি ও হোমনা উপজেলার মাথাভাঙা থেকে ছিনাইয়া পর্যন্ত মারাত্মক বেহাল অবস্থা। তাছাড়া পুরো সড়কেই রয়েছে ছোট-বড় গর্ত। অতি দ্রুত সংস্কার করার জন্য দাবি জানিয়েছেন পথচারী, যাত্রী ও চালকরা।
এ সড়কের নিকটবর্তী দুই পাশে রয়েছে সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদরাসাসহ জনসেবামূলক একাধিক সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানে যাওয়া আসা করতে বিঘ্ন ঘটে থাকে শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের। ছোট বড় সহস্রাধিক যানবাহন প্রতিদিনই চলছে এসড়ক দিয়ে।
দীর্ঘ ৭/৮ বছর ধরে সড়কের সংস্কার কাজ না হওয়ায় এবং সড়কের দুই পাশে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিগ্রহণকৃত জায়গা ভরাট করার ফলে বৃষ্টির পানি জমে এই গর্তের সৃষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ তুলছেন যানবাহন চালক ও যাত্রীরা।
সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক সালাহউদ্দিন বলেন, রাস্তার দুই পাশ বালু দিয়ে ভরাটের কারণে বৃষ্টির পানি জমে গর্তের সৃষ্ট হয়েছে, এখন গাড়ি চালাতে খুব সমস্যা হচ্ছে।
এই সড়কের প্রতিদিনের যাত্রী মো. মাহবুব আলম বলেন, সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় এবং সড়কের ধারণ ক্ষমতার বাইরে ভারী মালবাহী যানবাহন চলাচলের কারনে গর্তের সৃষ্ট হয়েছে। এতে করে ধীর গতিতে চলতে হচ্ছে যানবাহন, এছাড়াও যখন গর্তের মধ্যে যানবাহনের চাকা পড়ে তখন এক যাত্রী অন্য যাত্রীর গায়ে হেলে পড়ে যায়। তখন যাত্রীদের মধ্যে বিব্রতকর সৃষ্টি হয়। দ্রুত সড়কটি সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান মাহবুব আলম। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাজমুল হাসান মুরাদ বলেন, রাস্তায় গর্তের কারণে অনেক সময় মাজায় আগাত পাই এবং দু’পাশের বালুর কারণে ধূলা ওড়ে পরিবেশ দূষন হচ্ছে। ব্যস্ততম এই সড়কটি দ্রুত সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান মুরাদ।
কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী সুমীতি চাকমা বলেন, ইতোমধ্যে আমরা ঠিকাদার কোম্পানি দেলোয়ার হোসেন বাবুল এন্টারপ্রাইজকে কার্যাদেশ দিয়েছি, আশা করি চলতি সপ্তাহের মধ্যে সড়কের ছোট বড় গর্তগুলো মেরামত কাজ সম্পূর্ণ করতে পারবো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন