কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফ গংদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হয়। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন সুমন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ উমান খানের যৌথ স্বাক্ষরে গত ১০ নভেম্বর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙের দায়ে নিকলী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফকে বহিস্কারসহ উপজেলার ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। ঘটনার সূত্রপাত ঘোরাদিগা সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঠিকাদারের প্রতিনিধি গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাসেল মিয়া বাদী হয়ে বহিস্কৃত ছাত্রলীগ নেতা আরিফসহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে ২ লাখ টাকা চাঁদাদাবি নগদ ৫০ হাজার টাকা ও ৩টি এন্ড্রয়েড মোবাইল ছিনতায়ের ঘটনায় নিকলী থানায় চাঁদাবাজি মামলা করে। এ মামলার ওপর গত ২৮ অক্টোবর এসআই ইকবাল আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিট সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাত প্রায় সাড়ে ১২ টায় নিকলী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফ এবং এজাহার নামীয় আসামি পূর্বগ্রাম জংগলহাটি গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে মনির হোসেন (২৮), আব্দুল আজিজের ছেলে সাইফুল ইসলাম দয়াল (৩৫), ছাদেক মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া (২৮), ইছমত আলীর ছেলে ফারুক (৩৫), মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে সোহেল মিয়া (২৮) জালাল উদ্দিনের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৫) মৃত সোনাম উদ্দিনের ছেলে নজরুল (৪৫), নুরুল ইসলাম ওরফে নুরু মেম্বারের ছেলে এস এম আকাশ (২৫)। দেশিয় অস্ত্র নিয়ে উপজেলার ঘোড়াদিঘা আশ্রয়ণ প্রকল্পের বালু উত্তোলনের কাজে নিয়োজিত ড্রেজারের কাছে গিয়ে ২ লাখ টাকা চাঁদা না, দিয়া বালু উত্তোলন করতে পারবে না। এ সময় ঠিকাদারের লোকজনের নিকট থেকে ৫০ হাজার টাকা, ৩টি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ও ড্রেজারের ২০০ শত লিটার তেলের ড্রাম ট্রলারে উঠাইয়া নিয়া যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন