একই সমাজে হিন্দু-মুসলিম পরিবারের বসবাস। মুসলিমদের প্রার্থনা পদ্ধতি ও ইসলামী সংস্কৃতি দেখে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হয় অপু-শেফালী দম্পতি। একপর্যায়ে ২০১৯ সালে অপুর্ব দাস অপু একাই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। আদালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন তিনি। নিজেই নাম পছন্দ করেন ‘আব্দুল্লাহ আল মুইন’। পারিবারিকভাবে নিজেরা ইসলামের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করে ইসলামী নিয়মেই তারা দাম্পত্য জীবনযাপন করতে থাকেন। গত ৯ নভেম্বর ঝালকাঠির সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে এফিডেভিট করে আব্দুল্লাহ আল মুইনের স্ত্রী শেফালী দাসও ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। শেফালী নিজের পছন্দেই নতুন নাম রাখেন ‘আমেনা বেগম’। মুইন-আমেনা দম্পতির একটি শিশু পুত্র সন্তান রয়েছে। নওমুসলিম এ দম্পতি রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় গ্রামের বাসিন্দা। আমেনা একই এলাকার সুধীর দাসের কন্যা। এফিডেভিটে উল্লেখ করা হয়, প্রতিবেশী মুসলমানদের জীবনাচরণের আকৃষ্ট হয়ে ইসলামী বই-পুস্তক পড়াশুনা করি। সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করে ইসলামই একমাত্র প্রকৃত সত্য ধর্ম বলে প্রতিয়মান হয়। তাই আল্লাহ আমাদের একমাত্র প্রভু ও হযরত মুহাম্মদ (সা.) আমাদের নবী এবং পবিত্র আল কুরআন একমাত্র ঐশিগ্রন্থ’র ওপর বিশ্বাস দৃঢ়ভাবে স্থাপন করি। ইসলাম গ্রহণে আমাকে কেউ বাধ্য করেনি। আমার স্বামীও ইতোপূর্বে ইসলাম ধর্মগ্রহণ করেছেন। স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে নিজ ইচ্ছায় আদালতে এফিডেভিট করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে এখন থেকে আমেনা বেগম নামে পরিচিত হবেন বলে জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন