নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর নাসিম পাশার বিরুদ্ধে প্রভাব দেখিয়ে জোড় করে জমি দখল ও গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার দুপুরে জমির মালিক আনোয়ার হোসেন সোনারগাঁ থানায় নাসিম পাশার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।
থানার অভিযোগ থেকে জানা যায়, প্রায় ত্রিশ বছর ধরে আনোয়ার হোসেন পৌর এলাকার ইছাপাড়া মৌজায় তার ক্রয়কৃত ৪০ শতাংশ জমিতে প্রায় ৫শ’ বনজ ও ফলজ গাছ রোপন করে ভোগ দখল করে আসছে। গত বেশ কিছুদিন ধরে পৌর এলাকার ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নাসিম পাশা জোড়পূর্বক ওই জমি দখলে নেয়ার পায়তারা শুরু করে ইতোমধ্যে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি ধামকি দিয়ে সে জোড় করে প্রায় ১৪ শতাংশ জমি দখল করেছে। ২০ লাখ টাকা চাঁদা দিলে এ জমির দখল ছেড়ে দেবে, না হলে বাকি জমিও দখলে নেবে বলে হুমকি দেয়। তার কথায় রাজি না হওয়াতে সে খুন জখমের হুমকি দিয়ে বাকি জমি দখলে নেয়ার জন্য বিভিন্ন সময় সেও তার লোকজন মিলে রাতের আধাঁরে জমিতে রোপনকৃত প্রায় ১২০টি গাছ কেটে ফেলেছে। যার বাজার মূল্য প্রায় নয় লাখ আট হাজার টাকা।
সর্বশেষ গত শনিবার সকালে সে তার দলবল নিয়ে আবারো জমিতে এসে গাছ কাটতে শুরু করে। পরে জমির মালিক আনোয়ার হোসেন এতে বাঁধা দিলে উত্তেজিত হয়ে মারপিট করতে আসে। গাছ কাটার কথা কাউকে বললে বা আইনী ব্যবস্থা নিলে খুন করে গুম করার হুমকি দেয়।
এ ব্যাপারে জমির মালিক আনোয়ার হোসেন জানান, আমার ক্রয়কৃত জমি জোড়পূর্বক দখলে নেয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে নাসিম পাশা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমার জমি নিজের দখলে নিতে চাইছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
অভিযুক্ত নাসিম পাশা জানান, আমি এখানে জমি কিনেছি। তাই গাছ কেটেছি। পৌরসভার ভেতর সরকারি অনুমতি ছাড়া কোন ধরনের গাছ কাটা যায় না এ প্রশ্নের কোন জবাব দিতে পারেনি তিনি।
সোনারগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও সোনারগাঁ উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা মো. রেজোয়ান-উল-হক জানান, বিধি অনুয়ায়ী পৌর এলাকায় অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যায় না। যদি কেউ এটা করে থাকে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মাহবুব আলম বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন