রাত প্রায় নয়টা বাজে। বাসায় বেগম নেই, রণ রুদ্র’ও নেই। ভাগ্নী সাহারা’র তত্ত্বাবধানে আছে আমার ছোট্ট মেয়ে আইদাহ্। বাসা থেকে বের হয়ে যাবো স্টুডিওর দিকে, বৌ’মা ঈশিতার সঙ্গে করিডোরে দেখা। ক্লান্ত মেয়েটা মাত্র অফিস শেষ করে বাসায় ঢুকেছে। এবার ওর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে এলিভেটরে গ্রাউন্ড ফ্লোর প্রেস করার সময় অদ্ভূত একটা অনুভূতি মননে খেলে গেল। আমরা পুরনো সদস্যরা বাসায় কেউ নেই, আমার বৌ’মাই এখন সর্বেসর্বা, ভাবতেই ভাল লাগছিল।
যাদের সাথে শেয়ার করবো তাদের সময় নেই, আমারও অতো অস্থিরতা নেই বোঝানোর। কারন আমি এসব অনুভূতি উপভোগ করতে চাই একান্তে, বোঝাতে গেলেই মজা নষ্ট হয়ে যাবে। এভাবেই পট পরিবর্তন হয়, নিজেকে সেয়ানা ভাবতে গিয়ে অধীশ্বর হয়ে ওঠার বিকারগ্রস্ত মানসিকতা সামাজিক কুলীনদেরই ভোগায়। ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির ভুয়া বানিজ্যে ঘরে প্রবেশ করা নতুন মেয়েটি আসলেই অসহায়। তাঁর উপর কিম জং ঊনের মিজাইল তত্ত্ব চাপিয়ে দেয়ার প্রবণতা সরব থাকে। আমার ঘরে মেয়ে এসেছে, আমার মেয়ে আরেক ঘরে গিয়ে মেয়ে হিসেবে ঐ ঘরটাকে আলোকিত করবে। এটাই নারীজাতির আসল ক্যারিশমা। মাঝখানে যত ভজঘট ঘটে সেগুলো নিতান্তই বাজে উদাহরন। প্রতিটা গৃহে কোন মেয়ের বৌ হয়ে আসা কিংবা মেয়ে হয়ে জন্ম নেয়া সেই সংসারে কোনভাবেই অনুপ্রবেশ নয়, সৌভাগ্য ঐ ঘরটার যেখানে মেয়েটির স্নিগ্ধতার পরশ বিরাজমান থাকবে জন্ম জন্মান্তরে।
আমি মহা আনন্দিত আমার বৌ’মা ঈশিতা আর মেয়ে রঙ্গনকে নিয়ে। বোনাস হিসেবে বেগম সালমা এখনো হেড অফ ফ্যামিলি পোস্ট হোল্ড করছেন। অনেক কারন অকারন খরা শেষে এই বসন্তবৃষ্টি খুব ভাল লাগছে আমার। অনেক চাপ না নিয়ে পরিবারের সান্নিধ্যে আনন্দ খুঁজুন, দিনশেষে পরিবারই আসল আশ্রয়স্থল। সফল ফ্যামিলিম্যান হিসেবেই লেকচারটা দিলাম, জ্ঞানপাপী হিসেবে নয়। ভালবাসা অবিরাম… আসিফ আকবরের ফেসবুক থেকে
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন