ভালুকায় বকেয়া বেতনের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার সকালে লে-অফকৃত এক্সিকিউটিভ এ্যাটায়ার লিমিটেডের শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন। কারখানাটিকে গত ৯ নভেম্বর লে-অফ ঘোষণা করার সময় ১৫ নভেম্বর বকেয়া বেতন দেয়ার কথা ছিলো। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও শিল্পপুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মালিক পক্ষের সাথে কথা বলে শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে আশ^াস দিলে অবরোধ তুলে নেয়া হয়।
শ্রমিকরা জানান, ওই ফ্যাক্টরিতে তারা প্রায় সাড়ে ৩০০ শ্রমিক কর্মরত ছিলেন। গত ৯ নভেম্বর পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই এমনকি বকেয়া বেতন ও অভারটাইমের টাকা না দিয়েই কারখানাটি লে-অফ ঘোষণা করে। ওইদিন জানিয়ে দেয়া হয়েছিলো, ১৫ নভেম্বর বকেয়া পরিশোধসহ শ্রমআইন অনুযায়ী শ্রমিকদের লেঅফ সুবিধা প্রদান করা হবে। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার তারা কারখানায় গেলে দেখতে পান আবারো নোটিশ টানিয়ে দেয়া হয়েছে এবং নোটিশে বলা হয়েছে, আসামি ২৫ নভেম্বর ঢাকাস্থ বিজিএমএ-এর কার্যালয় (বিজিএমএ কমপ্লেক্স, বাড়ি ৭/৭এ, ব্লক-এইচ-১, সেক্টর-১৭, উত্তরা, ঢাকা) থেকে দাবি পরিশোধ করার সিদ্ধন্ত নেয়া হয়েছে।
শ্রমিকরা আরো জানান, তারা সাড়ে ৩০০ শ্রমিক ঢাকা থেকে বেতন আনতে গেলে পরিবহণসহ নানা সমস্যা রয়েছে। তাই তারা কারখানা থেকেই বেতন নিতে চান। কিন্তু মিল কর্তৃপক্ষ নোটিশের বাহিরে কিছু করার নেই বলে সাফ জানিয়ে দেয়। ফলে বাধ্য হয়ে তারা মহাসড়ক অবরোধ করেন। কিন্তু অবরোধ চলাকালে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ তার লোকজন ও কারখানার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা তাদের মারধর করে। এতে তাদের বেশ কিছু শ্রমিক আহত হন। এ সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে কয়েক কিলোমিটার জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হন চলাচলরত শত শত যানবাহনের যাত্রীরা।
কারখানার অ্যাডমিন ম্যানেজার মোহাম্মদ ইমন বলেন, বিজিএমএ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেতনের বিষয়ে নোটিশ গেটে টানানো হয়। কিন্তু তারা ওই নোটিশ না মেনে মহাসড়ক অবরোধ করে।উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ শ্রমিকদের মারধরের কথা অস্বীকারা করে বলেন, মহাসড়ক অবরোধের কথা শুনে তিনি ঘটনাস্থলে যান। পরে মালিকপক্ষ ও শ্রমিকদের সাথে কথা বলে পূর্বের সিদ্ধান্ত বাতিল করে আসামি ২৫ নভেম্বর ফ্যাক্টরি থেকেই বেতন দেয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। তিনি বলেন, শ্রমিকদের সাথে খারাপ ব্যবহার করার কারণে তার ছেলেদের তিনি চরথাপ্পর দিয়েছেন।
ময়মনসিংহ শিল্প জোন-৫ এর এএসপি কাজী সাইদুর রহমান জানান, এক্সিকিউটিভ এ্যাটায়ার কারখানটি গত ৯ নভেম্বর লেঅফ ঘোষণা করা হয়েছিলো। কিন্তু ওই তারিখ অনুযায়ী বেতন না দেয়ার কারণে শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে। পরে মালিক পক্ষের সাথে কথা বলে শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে আশ^াস দেয়া হলে তারা অবরোধ তুলে নেয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন