বাংলাদেশে পেট্রোলিয়াম শোধনাগার স্থাপনে কুয়েতের প্রস্তাব অনুযায়ী কাজ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দ্রæততম সময়ে বাংলাদেশ-কুয়েত জয়েন্ট কমিশন গঠনেরও নির্দেশ দেন তিনি। বাংলাদেশে নিযুক্ত কুয়েতের রাষ্ট্রদূত ফয়সাল মুতলাক আলাদওয়ানি গতকাল বৃহস্পতিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এসব ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম। প্রেস সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছর কুয়েত সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ সাবাহ খালেদ আল হামাদ আল সাবাহ বাংলাদেশে একটি পেট্রোলিয়াম শোধনাগার নির্মাণে তার দেশের আগ্রহ প্রকাশ করেন। তার সরকার শোধনাগার স্থাপনের জন্য ইতোমধ্যে জমি বরাদ্দ করেছে।
বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী ও প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকদের প্রতি বিশেষ যতœ নেওয়ার জন্য শেখ হাসিনা কুয়েত সরকারকে ধন্যবাদ জানান। বৈঠকে বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কুয়েতের জনগণ বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কুয়েত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশের রিজার্ভে কুয়েতের অবদানের কথা স্মরণ করে বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মসূচিতে কুয়েতের সহায়তার প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কুয়েতে কর্মরত প্রবাসীরা কুয়েত ও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। তিনি কুয়েতের আমিরকে শুভেচ্ছা জানান। কুয়েতের রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ বাংলাদেশকে উন্নয়ন প্রকল্পে সহায়তা করবে।
এদিকেপ্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, বাংলাদেশের ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে বৃহত্তর বিনিয়োগে সিঙ্গাপুরের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহŸান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সিঙ্গাপুর সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র অন্বেষণের পাশাপাশি টেকসই এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সিঙ্গাপুরের পরিবহন মন্ত্রী এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত বাণিজ্য সম্পর্কমন্ত্রী এস. ইশ্বরান গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী অর্থনৈতিক অঞ্চলে কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বাংলাদেশে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত রয়েছে এবং রিফুয়েলিং সুবিধাসহ কক্সবাজারে একটি নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ করা হচ্ছে।
এস.ইশ্বরান বলেন, উভয় দেশেরই পর্যটন খাতে সহযোগিতার সম্ভাবনা রয়েছে। বৈঠকে তারা দুই দেশের মধ্যে ক‚টনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছরপূর্তির বিষয়ও আলোচনা করেন। এস. ইশ্বরান বলেন, সিঙ্গাপুর ও বাংলাদেশ সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র অন্বেষণ এবং সম্ভাবনাময় খাত অনুসন্ধানে একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রæপ গঠনে একসঙ্গে কাজ করতে পারে। তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ শক্তিশালী হয়েছে। শেখ হাসিনাও সিঙ্গাপুরের উন্নয়নেরও প্রশংসা করেন।
অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো.তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এসময় উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন