বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

বেড়িবাঁধের ভাঙন আতঙ্কে কয়রাবাসী

কয়রা (খুলনা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৯ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০১ এএম

উপকূলীয় জনপদ খুলনার কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের আংটিহারা গ্রামের হারুন গাজীর বাড়ির পাশে শাকবাড়িয়া নদীতে ভাটির টানে ওয়াপদার বেড়িবাঁধে হঠাৎ ভাঙনে ২০০ মিটারের মত রাস্তা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তবে ভাটিতে ভাঙন লাগায় লোকালয়ে এখনো পানি প্রবেশ করেনি।

জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে যে কোনো মুর্হূতে পানি প্রবেশ করে এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকা করছে স্থানীয়রা। স্বেচ্ছাশ্রমে এলাকাবাসী বাঁধ রক্ষায় কাজ করছে। তবে পরিকল্পনা মাফিক কাজ করা না হলে বাঁধ নিয়ে শংকিত থাকতে হবে এই জনপদের মানুষদের। দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আ. ছালাম খান জানায়, গত ১০ নভেম্বর ভোর রাতে নদীতে ভাটর সময় ওয়াপদার বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখে তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা নিজেদের ঘরবাড়ি, মৎস্য ঘের ও সোনালি ফসল রক্ষা করতে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে রিংবাঁধের কাজ শুরু করে। তাৎক্ষনিক পানি প্রবেশ থেকে বিরত রাখা হলেও পাউবোর মাধ্যমে বড় ধরনের বরাদ্ধ দিয়ে ভাঙন রোধে কাজ করা না হলে গোটা এলাকা লোনা পানিতে প্লাবিত হবে।

স্থানীয় বাসিন্দা শিক্ষক জি. এম. মশিউর রহমান মিলন বলেন, ভোর রাতে শাকবাড়িয়া নদীতে ভাটির টানে হঠাৎ ভাঙনে ২শ’ মিটারের মত নদীতে বিলিন হয়ে যায়। তবে দ্রুত বাঁধ মেরামত না করলে জোয়ারের পানিতে ঘর-বাড়িসহ ফসলি জমি, মৎস্যঘের তলিয়ে যাবে। এতে করে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। সাবেক ইউপি সদস্য গোলাম মাওলা বলেন, রাতের জোয়ারে বেড়িবাঁধে ফাটল ধরেছিলো, ভোর বেলা ভাটির টানে ২শ’ মিটারের মত নদীতে বিলীন হয়েছে। দুপুরে জোয়ারের পানি আটকানোর জন্য সকাল থেকে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় রিংবাঁধের কাজ করা হয়েছে। প্রতিনিয়ত বাঁধ ভাঙে আর এলাকাবাসি জোড়াতালি দিয়ে টিকিয়ে রাখে কবে হবে স্থায়ী বেড়িবাঁধ সেই প্রশ্নের জবাব মিলছেনা এ জনপদের মানুষের।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী মো. লিয়াকাত আলী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বাঁধ রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন