বেশকিছু দিন ধরেই তারকা দম্পতি সৃজিত-মিথিলার বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে নেটদুনিয়ায়। বাংলাদেশসহ ওপার বাংলার টালিউডেও এ বিষয়টি নিয়ে চলছে ব্যাপক জল্পনা। ফেসবুকে তাদের হেঁয়ালি পোস্টকে কেন্দ্র করে ভক্তদের মনে দানা বেঁধেছে তাদের বিবাহবিচ্ছেদের সুর। মিডিয়ায়ও এ নিয়ে সংবাদ প্রচার হয়েছে। তাই এ প্রসঙ্গে শেষ পর্যন্ত মুখ খুলেছেন মিথিলা।
মিথিলা বলেন, ‘বিয়ে ভাঙার গুজব পুরোপুরি ভিত্তিহীন। আমার কোনো ধারণাই নেই, আমাদের একটা সাধারণ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট কীভাবে ডিভোর্সের জল্পনা শুরু করে দিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুরুতে সৃজিতের পোস্ট আমি খেয়াল করিনি। যখন লোকজন এটা নিয়ে কথা বলতে শুরু করল, আমার বেশ কয়েকজন বন্ধু আমাকে ব্যাপারটা জানায়। আমি তো হতচকিত হয়ে গিয়েছিলাম যে কত সহজভাবে লোকে আমাদের ডিভোর্স নিয়ে কথা বলছে। আমরা তো তেমন কিছুই লিখিনি।’
মিথিলার ভাষায়: ‘আমার কাছে এ বিষয়টা খুব অনৈতিক। এর আগেও ঠিক একইভাবে ডিভোর্সের জল্পনা শুরু হয়েছিল যখন কোভিডের জন্য আমি ঢাকায় আটকে পড়েছিলাম। আমি জানি, সেলিব্রেটিদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কাটাছেঁড়া চলে, তবে এখন বিষয়টা বাড়াবাড়ির পর্যায়ে চলে গিয়েছে। দিনের শেষে একজন নারীর মানহানি হচ্ছে। এটা ঠিক নয়।’
প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগে মিথিলা তার ইনস্টাগ্রামে ইংরেজি ভাষায় একটি পোস্ট দেন। যার বাংলা তরজমা দাঁড়ায়—‘তুমি কীভাবে জানো প্রেম সত্যি? এটা যদি সুন্দর হয়ে থাকে তবে তুমি তা কীভাবে জানো? এই উত্তর খুঁজে পেতে তুমি কতদূর যেতে পারবে, আগেই জেনে নেবে এটা এখানে নেই।’
একই দিনে সৃজিত মুখার্জি জোন বায়েজের লেখা ফেয়ারওয়েল অ্যাঞ্জেলিনা গানের লাইন পোস্ট করেন। যার বাংলা তরজমা দাঁড়ায়—‘সেখানে রাগের দরকার নেই, সেখানে দোষারোপের প্রয়োজন নেই। সেখানে কিছু প্রমাণ করার নেই। সব একই আছে। শুধু একটা গাছ একাকি দাঁড়িয়ে আছে সৈকতে। সমুদ্রের ধার ঘেঁষে। বিদায় অ্যাঞ্জেলিনা। আকাশ কাঁপছে। এবার বিদায় নিতে হবে।’ তারপরেই দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাতে কার্পন্য করেননি নেটিজেনরা। এরপরই বিয়ে বিচ্ছেদের গুঞ্জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৬ ডিসেম্বর রেজিস্ট্রি বিয়ে করেন মিথিলা ও ভারতীয় বাংলা সিনেমার নির্মাতা সৃজিত মুখার্জি। কলকাতায় সৃজিতের ফ্ল্যাটে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। বিয়েতে সৃজিত-মিথিলার পরিবারের ঘনিষ্ঠজনরা উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন