রংপুরের পীরগঞ্জ মুজিববর্ষের ঘর গত দুই বছরেও নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। বেকায়দায় বিপদে পড়ে বসবাস করছেন কয়েকটি পরিবার ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার চতরা ইউনিয়নের হরিণ শিং এর পুকুর পাড়ে গত ২ বছর আগে মুজিবর্ষের ১৫টি ঘর নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে কয়েকটি ঘরের পাকা মেঝে উঠে গেছে, কয়েকটিতে ফাটল ধরেছে এবং ৩টি ঘরের বাথরুমের দেয়াল প্লাস্টার কাজ অসম্পূর্ণ রেখেই উপকারভোগীদের কাছে ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, নানান অনিয়ম ও দায়সারাভাবে ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়েছে। নির্মাণ কাজ শেষ হতে না হতেই ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে ঘর হস্তান্তর করা হয়। ‘দেখার কেউ নেই, সরকারের মাল দরিয়া মে ঢাল।’ প্রকল্পের কয়েকজন ঘর মালিকদের সাথে কথা হলে তারা বলছেন, আসলে ঘরগুলোর বাপ-মা নেই, মিস্ত্রিরা মনগড়াভাবে ঘরগুলোর কাজ করে গেছে। কাজের মান খারাপ বিষয় নিয়ে মিস্ত্রিকে কিছু বল্লে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দোহাই দিয়ে বলেন, কাজ খারাপ হলে ইউএনও স্যার বুঝবে আপনাদের কি? কাজ বিষয়ে কোনো কথা চলবে না। তার আরও বলেন, ১৫টি ঘরের বাথরুমের পাইপ ও পাইপ লাইন স্থাপন কাজ শেষ না করেই চলে যায়।
ডিমলা উপজেলার ঘর নির্মাণ মিস্ত্রি সাজু মিয়া ঘর মালিকদের কে বলেন, ৩ হাজার টাকা আপনাদের কে দেয়া হবে, আপনারা ঘরের বাথরুমে পাইপ লাইন স্থাপন করেন। কিন্তু ঘর মালিকরা নিজেরাই টাকা ব্যয় করে পাইপলাইন স্থাপন করে নয়। মিস্ত্রি সাজুগং টাকাও দেননি বরং ৩টি ঘরের দেয়ালের প্লাস্টারের কাজ অসমাপ্ত রেখে চলে যায়। ভুক্তভোগী ঘর মালিক সালাম মিয়া, কবিরুল ইসলাম, সুশীল জানান, তাদের ৩টি ঘরের বেশকিছু দেয়াল প্লাস্টার কাজ শেষ না করেই মিস্ত্রি চলে গেছে। বাকি কাজগুলো শেষ করার কথা বলা হলে মিস্ত্রিরা বলে ক’দিন পরে এসে ঠিক করে দেয়া হবে। অথচ ২ বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত মিস্ত্রি কাজ শেষ করেননি। ঘর নির্মাণ মিস্ত্রি সাজু মিয়ার মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেনি। হরিণ শিং আশ্রয়ণ প্রকল্পের ভুক্তভোগী বাসিন্দারা জরুরি ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন