১৯৭১ সালে ২২ নভেম্বর এই দিনে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার তেরশ্রীতে নিরীহ বাঙালির ওপর পাকিস্তানি বাহিনী নির্মমভাবে ৪৩ জন গ্রামবাসীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। মুক্তিযুদ্ধের সময় এটাই ছিল মানিকগঞ্জের সবচেয়ে বড় গণহত্যা। তাই জেলাবাসী প্রতি বছর এই দিনটিকে তেরশ্রী ট্র্যাাজেডি দিবস হিসাবে পালন করে।
জানা যায়, ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশের দোসর বাহিনী তেরশ্রী গ্রামে অভিযান চালিয়ে আগুনে পুড়িয়ে ও পাখির মতো গুলি এবং বেয়নোট চার্জে হত্যা করে এ গ্রামের স্বাধীনকামী জমিদার সিদ্ধেশ্বর প্রসাদ রায় চৌধুরী, অধ্যক্ষ আতিয়ার রহমানসহ ৪৩ জন নিরীহ মানুষকে। তেরশ্রী গ্রামের প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে নারকীয় কর্মকাণ্ড চালায়ে বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়। হানাদাররা চলে যাওয়ার পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে লাশগুলো উদ্ধার করে মাটি চাপা দেয়। পরবর্তীতৈ এলাকাবাসীর দাবির পেক্ষিতে ২০১২ সালে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশলী অধিদপ্তর প্রায় ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করেন। এই স্মৃতিস্তম্ভের গায়ে ৩৬ জন শহীদের নাম লিপিবদ্ধ রয়েছে, বাকি ৭ জনের নাম আজও জানা যায়নি। মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলা সদর থেকে তিন কিলোমিটারের উত্তরে তেরশ্রী বাজার, তেরশ্রী কলেজ, সেনপাড়া, বড়রিয়া ও বড়বিলা গ্রামকে কমিউনিস্ট আন্দোলনের সূতিকাগার হিসেবে ধরা হতো।
ঘিওরের ট্র্যাজেডি দিবস উপলক্ষে তেরশ্রী কলেজ এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা, জেলা প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির পালন করে থাকেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন