প্রসূতি এক নারীকে অপারেশন টেবিলে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে মক্কা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর ডিএমএফ ডা. মো. হৃদয়ের বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার সকালে আহাতের স্বজনরা এ ঘটনা নিশ্চিত করেন।
পার্শ^বর্তী উপজেলার দক্ষিণ বেতাগী গ্রামের বাসিন্দা প্রসূতি ওই নারীর স্বামী হারুন হাওলাদার জানান, বাড়িতে হঠাৎ প্রসাব বেদনা শুরু হলে গত ১৪ নভেম্বর সকালে মির্জাগঞ্জের মক্কা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে আসি। হাসপাতালে থাকা ডাক্তার কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে বললে আমরা তা করি। পরে তারা জানায় দ্রুত সিজার করতে হবে। পরে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গেলে প্রথমে আমার স্ত্রীর পেটের ওপরের বিভিন্ন স্থানে চাপ দেয়। এতে সে ব্যথা পেয়ে বলে আমাকে কি মেরে ফেলবেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অপারেশন থিয়েটারের দায়িত্বরত ডিএমএফ ডাঃ হৃদয় তাকে কয়েকটি চড় থাপ্পর দেয়। ওর গালে ও চোখে এখনো মারধরের ক্ষত স্পষ্ট রয়েছে। পরে নরমাল ডেলিবেরি হলে গুরুতর অসুস্থ হলে তাকে বরিশাল আইসিইউতে পাঠানো হয়। সেখানে জ্ঞান ফিরলে মারধরের ঘটনা সম্পর্কে আমাকে বলে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ডাঃ হৃদয় বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে মক্কা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক তারিকুল ইসলাম শাওন বলেন, দেখেন অপারেশন থিয়েটারে কি হয়েছে তা আমার জানা নাই, আমি ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করে বলতে পারবো তারা অনেকদিন পরে অভিযোগ করলে আমার কি করার আছে।
এ বিষয়ে মির্জাগঞ্জ থানার ওসি আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইননাুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন