শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর খলচান্দা কোঁচপল্লীতে যাতায়াতের সড়কের করুণ হালে চরম দুর্ভোগে এলাকাবাসী। শুকনো মৌসুমেই রাস্তাটিতে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বর্ষায় কি অবস্থার হয় তা কলাই বাহুল্য। কোঁচ পল্লিরাসী বর্ষার পূর্বেই রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি জানিয়েছেন। উপজেলার বারোয়ামারী খৃস্টান মিশন মোড় থেকে দুই কিলোমিটার উত্তরে আন্ধারুপাড়ার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী অধ্যুষিত খলচান্দা গ্রামে ৫০-৬০ পরিবারের ৩-৪ শতাধিক লোক, সদ্যনির্মিত আশ্রয়ণ কেন্দ্রের ৩৫ পরিবারের ও আন্ধারুপাড়া গ্রামের ৪০ পরিবারের মানুষ এ সড়কে চলাচল করে। রাস্তায় গ্রামসমূহের লোকজন উৎপাদিত ফসল, গবাদি পশু ও হাট-বাজার করতে পাশের বারমারী বাজারে যাতায়াত করেন। কোচপল্লীর শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাতায়াতে সিমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কাঁচা সড়কটি শুকনো মৌসুমে ধূলা বালু ও বর্ষায় হয় কর্দমাক্ত। শীত-বর্ষা ১২ মাস চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কোঁচপল্লী যাবার দুই কিলোমিটার সড়কে কিছু অংশ পাকা করার জন্য ইটের খোয়া ফেলে রাখা হয়েছে দীর্ঘদিন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে কার্পেটিং না করায় খোয়া ওঠে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বাকি অংশ পাকা না করায় বর্ষা মৌসুমে চলাচলে দুর্ভোগের সীমা থাকবেনা।
খলচান্দা কোঁচপল্লীর শ্রী রমেশ কোঁচ, পরিমল কোঁচ, অনিল কোঁচ, চন্ডী কোঁচ, রঞ্জিত কোঁচ ও জুলফিকার আলী ভুট্টু জানান, খলচান্দা আন্ধারুপাড়া থেকে চলাচলের একমাত্র রাস্তা এটি। রাস্তা দিয়েই চেল্লাখালী নদী থেকে উত্তোলিত অভারলোড বালুবাহী ট্রাক চলাচলে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত হয়েছে। শুকনো মৌসুমে বালুতে একাকার ও বর্ষায় সৃষ্ট গর্তে পানি জমায় পায়ে হেটে চলাও দুস্কর। গ্রামের কেউ অসুস্থ্য হলে এ বেহাল রাস্তায় দ্রুত হাসপাতাল বা ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া যায় না। নানাবিধ কষ্টে ওই দুই কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণের দাবি ভূক্তভোগীদের।
পোড়াগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা মো. জামাল উদ্দিন বলেন, আন্ধারুপাড়ার খলচান্দা কোঁচপাড়ার রাস্তাটি পাকাকরণে গ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।
এ প্রসঙ্গে নালিতাবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান রাকিব বলেন, খলচান্দা কোঁচপল্লীর রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন