পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় ঘুসের টাকা আদায় করতে মাদরাসার তালা লাগিয়ে দিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবারসহ স্থানীয়রা। গতকাল রোববার সকালে শিলাইকুঠি বালাবাড়ী দাখিল মাদরাসায় এঘটনা ঘটে। সকালে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মাদরাসায় গিয়ে অফিস কক্ষে একাধিক তালাবদ্ধ দেখতে পায়। এতে বিপাকে পড়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিবাবকরা। বিষয়টি কর্তৃপক্ষ জানলেও সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কেউ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। স্থানীয়রা জানায়, নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগ দেয়ার কথা বলে স্থানীয় সুয়েল রানা নামের এক চাকরি প্রার্থীর কাছে দফায় দফায় সাড়ে ৫ লাখ টাকা নেয় মাদরাসাটির সুপারিন্টেন্ডেন্ট বদিরুল আলম সরকার ও মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আমিন আলী (আর্মি) গত শনিবার ২৬ নভেম্বর বিকালে নৈশপ্রহরীর শূন্যপদে সুয়েল রানাকে নিয়োগ না দিয়ে সভাপতির ভাতিজাকে নিয়োগ দেয়া হয়। গতকাল রোববার সকালে ঘুসের টাকা আদায়ের জন্য মাদরাসাটির অফিস কক্ষে তালা লাগিয়ে দিয়েছে ভুক্তভোগীরা। এতে বিপাকে পড়েছেন মাদরাসাটির শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। যদিও দ্বি-বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা সকাল ১০টায় কিন্তু দুপুর হয়ে গেলেও কোন মাথা ব্যাথা নাই কর্তৃপক্ষের। ভুক্তভোগী তোফাজ্জল হোসেন জানান, করোনাকালীন সময়ে সুপার বদিরুল আলম সরকার আমার ছেলেকে চাকরি দিবে মর্মে ছেলেকে বিয়ে দিয়ে যৌতুকসহ এ পর্যন্ত সাড়ে ৫ লাখ নিয়েছেন। গতকাল ১২ লাখ টাকার বিনিময়ে সভাপতির ভাইয়ের ছেলেকে নিয়োগ দিয়েছেন। এবিষয়ে সুয়েল রানা বাদী হয়ে রোববার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সহ-সুপারিন্টেন্ডন্ট ওসমান গণি জানান, মাদরাসায় আলোচনা হয়েছে নিয়োগ দিয়ে যা ডোনেশন আসবে সেটা দিয়ে মাদরাসার উন্নয়ন কাজে ব্যবহার করা হবে। এখন শুনছি নিয়োগের টাকা সুপার-সভাপতিসহ ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছেন। সুপারিন্টেন্ডেন্ট বদিরুল আলম সরকার ছুটিতে থাকায় মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান। এসময় সভাপতি আমিন আলীর মুঠোফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শওকত আলী জানান, বিষয়টি শুনেছি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন