ফের লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে ভারতের দিল্লিতে। দেশটিতে স্বামীকে হত্যার দায়ে এক নারীও ও তার ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশ। খবর এনডিটিভির।
রিপোর্ট, স্বামী পরকীয়ায় লিপ্ত- এমনটি জানতে পেরে ওই নারী তার ছেলের সহযোগিতায় স্বামীকে হত্যা করে। এরপর স্বামীর দেহ কেটে ২২ টুকরো করে। তা রেখে দেয় ফ্রিজে। পরবর্তীতে পূর্ব দিল্লির বেশ কয়েকটি আশেপাশের অঞ্চলে ফেলে দেয়।
এবারের ঘটনায় ভুক্তভোগী অঞ্জন দাস নামের ওই ব্যক্তি পূর্ব দিল্লির পাণ্ডব নগরের বাসিন্দা। পুলিশ বলছে, অঞ্জন দাসকে তার স্ত্রী পুনম দাস এবং ছেলে দিপক পরকীয়ার অভিযোগে গত জুনে হত্যা করে। প্রথমে তাকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়, এরপরে হত্যা করা হয়। ত্রিলোকপুরিতে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। এরপর পাণ্ডব নগরের বিভিন্ন জায়গায় টুকরো দেহ ফেলে দেওয়া হয়।
সিসিটিভি ফুটেছে দেখা যায়, দিপক গভীর রাতে হাতে ব্যাগ দিয়ে শহরের আশেপাশে হেঁটে যাচ্ছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দিপক এভাবে শরীরের অংশ ফেলে দিয়েছেন। আর তাকে অনুসরণ করছিলেন পুনম। এই ঘটনার তদন্ত চলছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এর আগে দেশটিতে লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধাকে ৩৫ টুকরো করে দিল্লির জঙ্গলের বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেন প্রেমিক আফতাব। দেশটিতে এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আরেক চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এলো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন