যশোর ডিবি পুলিশ চৌগাছায় শ্বাশুড়ির পরকীয়া প্রেমিক হত্যা রহস্য উদঘাটন করেছে। শাশুড়ির সাথে পরকীয়া করার কারণেই বিপুলকে তার জামাই ও ছেলে মিলে হত্যা করে। মামলার প্রধান আসামি জামাই রফিকুল ইসলামকে গাজীপুর জেলার কোনাবাড়ি গ্রাম থেকে আটক করে ডিবি পুলিশ। একই সাথে হত্যার কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল এবং একটি আলমসাধু (ইঞ্জিন চালিত ভ্যান) উদ্ধার করে।
যশোর ডিবি পুলিশ জানায়, ডিবি পুলিশ রোববার রাতে আটক রফিকুল চৌগাছার দক্ষিণ কয়ারপাড়া গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে। এই নিয়ে এই হত্যা মামলার চার আসামিকে আটক করলো পুলিশ। আটক রফিকুল যশোরের আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।
ডিবি পুলিশ জানায়, গত ৪ জুন চৌগাছার বেড়গোবিন্দপুর বাওড়ের পাশ থেকে বিপুল নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় চৌগাছা থানায় একটি মামলা হয়। মামলার তদন্ত পেয়ে ডিবি পুলিশ জানতে পারে, নিহত বিপুলের সাথে রফিকুলের শাশুড়ি ফুলবানুর পরকীয়া ছিল। বিষয়টি ফুলবানুর ছেলে সবুজ ও জামাই রফিকুল জানতে পারে। পরে বিপুলকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
সে মোতাবেক গত ৩ জুন রফিকুল তার বাড়িতে বিপুলকে ডেকে নেয়। পরে তারা গলায় রশি দিয়ে পেচিয়ে এবং মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে লাশ একটি বস্তার মধ্যে রেখে আলমসাধুতে করে নিয়ে বেড়গোবিন্দপুর বাওড়ে নিয়ে যায়। সেখানেই রাতে লাশ ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ফুলবানু ও তার ছেলে সবুজ এবং তুহিন নামে আরো একজনকে আটক করা হয়। তারাও হত্যার করা স্বীকার করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন