ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মায়ের পরকীয়ায় বলি হয়েছে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র পারভেজ মোশাররফ । মায়ের অনৈতিক সম্পর্ক জেনে ফেলায় তাকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ঘটনায় মা, মায়ের প্রেমিক, আপন চাচাসহ ৫ জনকে র্যাব ও এক যুবককে আটক করেছে পিবিআই।
গত রোববার ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের চাচা নুরুল আমিন বাদি হয়ে সোমবার রাতে মামলা দায়ের করেন। পুলিশের পাশাপাশি পিবিআই ও র্যাব তদন্ত শুরু করে। এতে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। হত্যাকান্ডের সাথে মা ও তার প্রেমিকসহ বেশ কয়েকজনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়।
র্যাব অভিযান চালিয়ে কিশোর পারভেজের মা রুজিনা বেগম (৩০), তার প্রেমিক এমদাদুল হক (৩৮), মো. গণি (৪৫), সুলতান উদ্দিন (৪০) ও নিচতের চাচা রুহুল আমিন (৫৮) কে আটক করে। বৃহস্পতিবার বিকেলে র্যাব কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করে হত্যাকান্ডে তাদের সম্পৃক্ততার কথা জানান র্যাব-১৪ ময়মনসিংহ কার্যালয়ের উপ অধিনায়ক মেজর মো. ফজলে রাব্বি।
র্যাব জানায়, পারভেজের মা রুজিনা বেগমের সাথে পরকীয়া ছিল এমদাদুল হকের। পারভেজ মায়ের পরকীয়া জানতে পারায় হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। অর্থের বিনিময়ে লোক ভাড়া করে পারভেজকে হত্যা করার কথা আটককৃতরা স্বীকার করেছে।
এদিকে পারভেজ হত্যা মামলাটি তদন্তের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে পিবিআই ময়মনিসংহ শাখা। তদন্তভার গ্রহণের পর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পিবিআই গাজীপুরের টঙ্গী এলাকা থেকে রবিউল ইসলাম (১৭) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
পিবিআই ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, স্কুলছাত্র পারভেজের মা একাধিক পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েছিলেন। মায়ের অসংলগ্ন সম্পর্ক, মোবাইল ফোনে কথা বলা সব কিছুতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ছেলে। মাকে সতর্কও করেন। কিন্তু মা সতর্ক না হওয়ায় পরকীয়ার বিষয়টি বাবাকে জানানোর হুমকি দেয়। এতে মা প্রতিবেশী রবিউলকে ৫০ হাজার টাকার প্রলোভন দেখায় ছেলেকে হত্যার জন্য। ঘটনার দিন রাতে মা পারভেজকে নদীর পাড়ে পাঠায় কৌশলে। নদীর পাড়ে গিয়ে মোবাইল ফোন দিয়ে ফেরার পথে মাথায় আঘাত করতে শুরু করে রবিউল। হত্যা করে পারভেজের লাশ নদীতে ফেলে দেয়। আদালতে রবিউল হত্যার স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন