বাজারজুড়ে এখন শীতকালীন সবজি। ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, শিম, মুলাসহ প্রায় সব ধরনের সবজিরই সরবরাহ প্রচুর। এর ব্যাতিক্রম নয় পিরোজপুরের প্রধান কাঁচা বাজার এখন শীতকালীন সবজিতে ভরপুর। আগের তুলনায় দামও অনেক কম। কিন্তু দাম কম হলেও বাজারে নেই তেমন ক্রেতা।
ব্যবসায়ীরা বলেন, শীতকাল চলে এসেছে। বাজারে নানা ধরনের সবজি উঠছে। ব্যবসায়ীরা টাটকা সবজির পসরা সাজিয়ে বসেছেন। কিন্তু ক্রেতা নেই। ক্রেতার অভাবে সবজি বিক্রি করতে না পারায় অনেক সময় সবজি পঁচে যাচ্ছে, ফলে ব্যবসায়ীদের লোকসানে পড়তে হচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফুলকপি পাইকারি ৩০ আর খুচরা ৪০ টাকা, বাঁধাকপি পাইকারি ৩০ খুচরা ৩৫ টাকা, মুলা পাইকারি ২০ খুচরা ২৫ টাকা, বেগুন পাইকারি ৩০ খুচরা ৩৫ টাকা, কাঁচামরিচ পাইকারি ৩০ খুচরা ৫০ টাকা, শশা পাইকারি ৫০ খুচরা ৬০ টাকা, গাজর পাইকারি ৭৫ খুচরা ১০০ টাকা, টমেটো পাইকারি ৭০ খুচরা ১০০ টাকা, শিম পাইকারি ৩৫ খুচরা ৪০ টাকা, শালগম পাইকারি ৩৫ খুচরা ৫০ টাকা, লাউ পাইকারি ৩০-৪০ আর খুচরা ৪০-৫০ টাকা পিস, মিষ্টি কুমড়া পাইকারি ৪০ খুচরা ৪৫ টাকা, ঢেড়স পাইকারি ৩৫ খুচরা ৫০ টাকা, করল্লা পাইকারি ৪৫ খুচরা ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ী সালাম ব্যাপারী বলেন, ব্যবসায়ীরা সবাই ভালো সবজি নিয়ে বাজারে এসেছে কিন্তু বেচাকেনা কম। সবজি বিক্রি করতে না পারলে পচে যায়। এর ফলে আমাদের লোকসান গুনতে হয়।
ব্যবসায়ী আকবর শেখ বলেন, পিরোজপুরের বাজারে ক্রেতা নেই বললেই চলে। শীতকালীন শাক-সবজিতে বাজার সয়লাব। দামও কম কিন্তু ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। ভ্যানে যারা সবজি বিক্রি করে তারা ক্রেতা পায়।
জেলা কাঁচা বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, শীতকালীন শাক-সবজিতে সয়লাব বাজার। সে তুলনায় ক্রেতা নেই বললেই চলে। আমদানি থাকলেও বাজারে ক্রেতা না থাকায় বিক্রি হচ্ছে না শাক-সবজি। ফলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সবজি ভেদে প্রতি কেজিতে ১৫-২০ টাকা দাম কমে গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন