অনেক অপেক্ষার পর অবশেষে চট্টগ্রামবাসীর প্রত্যাশা পূরণ হতে চলেছে। বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে শহরটিতে চালু হচ্ছে দেশের জনপ্রিয় মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হল ‘স্টার সিনেপ্লেক্স’। আগামী ২ ডিসেম্বর এই শাখার উদ্বোধন হবে। আরা ৩ ডিসেম্বর থেকে দর্শকরা সেখানে সিনেমা দেখতে পারবেন। চট্টগ্রামের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং বিনোদন জগতের তারকারা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ ।
স্টার সিনেপ্লেক্সের মিডিয়া অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম শহরের চকবাজার এলাকায় (নবাব সিরাজউদ্দৌলা রোড) বালি আর্কেড শপিং কমপ্লেক্সে অবস্থিত সুপরিসর এই মাল্টিপ্লেক্সে তিনটি হল রয়েছে। আসন সংখ্যা যথাক্রমে ৮৬ (হল-১), ১৯৬ (হল-২) এবং ১২৫ (হল-৩)।
জানা গেছে, বরাবরের মতো নান্দনিক পরিবেশ, সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত সাউন্ড সিস্টেম, জায়ান্ট স্ক্রিনসহ বিশ্বমানের সিনেমা হলের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা নিয়ে মাল্টিপ্লেক্সের হলগুলো নির্মিত হয়েছে।
স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান রুহেল বলেন, ‘দেশব্যাপী অনেকগুলো সিনেমা হল নির্মাণের পরিকল্পনার কথা আগেই জানিয়েছিলাম আমরা। ধারাবাহিকভাবে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে চলছে। চট্টগ্রামে প্রচুর সিনেমাপ্রেমী দর্শক রয়েছেন, যাঁরা স্টার সিনেপ্লেক্সের মতো একটি মাল্টিপ্লেক্স প্রত্যাশা করেন। আমি নিজে চট্টগ্রামের মানুষ। অনেকেই আমাকে তাঁদের চাওয়ার কথা বলেছেন। বলা চলে, চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এটি। এই দাবি পূরণের কাজটি আরও আগেই করতে চেয়েছিলাম। নানা কারণে হয়ে ওঠেনি। এবার কাজটি করতে পেরে আমি আনন্দিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির প্রসারে আমাদের এই উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলা সিনেমার সুদিন আবার ফিরে আসবে। পরিবার-পরিজন নিয়ে হলে গিয়ে সিনেমা দেখার সংস্কৃতি আবার চালু হবে। এর জন্য যে পরিবেশ প্রয়োজন সেটা তৈরির চেষ্টা করছি আমরা।’
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ৮ অক্টোবর রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে যাত্রা করে দেশের প্রথম মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হল ‘স্টার সিনেপ্লেক্স’। বর্তমানে ঢাকায় ৫টি শাখা রয়েছে এর। ধানমন্ডির সীমান্ত সম্ভার (সাবেক রাইফেলস স্কয়ার), মহাখালীর এসকেএস (সেনা কল্যাণ সংস্থা) টাওয়ার, মিরপুরের সনি স্কয়ার এবং বিজয় স্মরণি সামরিক জাদুঘরে শাখাগুলো অবস্থিত। এ ছাড়া বগুড়া ও রাজশাহীতে নতুন শাখার নির্মাণ কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন