ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় বিভিন্ন জাতের ধান চাষ করে মধুখালী এলাকার চাষিরা। বেশিরভাগ খেতের ধান পাকতে শুরু করায় খেত থেকে সে সব ধান কেটে মাড়াই করে ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।
এ বছর বিভিন্ন জাতের ধানের মধ্যে হাইব্রিড ছাড়াও উচ্চ ফলনশীল বিনা-১৭, বিনা-২০, ব্রি-৭৫, ব্রি-৮৭, বোরো জাতের ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে। আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে বেশিরভাগ ধান কাটা শেষ হয়ে যাবে। উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ব্যাসদী গ্রামের ও কামালদিয়া ইউনিয়নের ঝাউহাটির মাঠে চোখে পড়ে বিস্তীর্ণ আমন খেত। ধান কেটে কেউ মাঠে রোদে রেখেছেন, কেউবা মাথায় করে ঘরে নিতে ব্যস্ত।
কথা হয় কৃষক মো. ইকরামের সাথে, তিনি বলেন এক একর জমিতে হাউব্রিড ধানের চাষ করেছিলেন। এখন জমির সেই ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি।
কোরকদী ইউনিয়নের কলাইকান্দা গ্রামের কৃষক আনন্দ বলেন, এবার সব কিছুর দাম অনেক বেরেছে, যদি ধানের দামটাও বৃদ্ধি পায় তাহলে কৃষক লাভবান হবেন।
কৃষি কর্মকর্তা আলভীর রহমান বলেন, এ বছর ১টি পৌরসভাসহ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ৮ হাজার ৬২০ হেক্টর জমিতে আমনের ফলন হয়েছে। যা গত বছরে ছিল ৮ হাজার ৬৫৪ হেক্টর। গতবারের তুলনায় ৩৪ হেক্টর পরিমান কম চাষ হয়েছে। সামান্য পরিমান কম চাষ হওয়ার জন্য কৃষি কর্মকর্তা জানান, সঠিক সময়ে বৃষ্টিপাত না হওয়া ও পাট দেরিতে কাটার জন্য জমিআবাদ কিছুটা কম হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন