ঢাকার কেরানীগঞ্জে তাবলীগের ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা শুরু হয়েছে। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার শাক্তা ইউনিয়নের কিংস্টার হাউজিংয়ের বিশাল মাঠে গতকাল মঙ্গলবার ফজরের নামাজের পরে সূচনা বয়ানের মাধ্যমে এই জোর ইজতেমার শুরু হয়। ইজতেমার প্রথম দিনেই ৬৪ জেলার সাথীদের উপস্থিতিতে বিশাল মাঠটি কানায় কানায় ভরে যায়। তাবলীগ জামাতের ৩ চিল্লার সাথী ও ১ চিল্লা সময় লাগিয়েছেন এমন উলামায়ে কেরাম কেবল এই ইজতেমায় শরিক হয়েছেন।
তাবলীগ জামাত সূত্রে জানা গেছে ৫৬ বছর ধরে টঙ্গীর ময়দানে বিশ্ব ইজতেমার স্বাগতিক দেশ ও প্রস্তুতি হিসেবে এই জোর অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এই জোরে তাবলীগের পুরো বছরের সারাদেশের কাজের রিপোর্ট পেশ করা হয়। আবার আসামি এক বছরের জন্য কাজের পরিকল্পনাও হাতে নেয়া হয়। জোর থেকে দেশে বিদেশ জামাত বিশ্ব ইজতেমার দাওয়াতের জন্য পাঠানো হয়। বিশ্ব ইজতেমার মতোই এ জোরেও তাবলীগ জামাতের কেন্দ্রীয় বিশ্ব মারকাজ দিল্লির নিজামুদ্দিনের মুরুব্বিগণ গুরুত্বপূর্ণ বয়ান করেন। পাঁচ দিনব্যাপী এই জোরে বাদ ফজর সূচনা বয়ান করেন দিল্লির মাওলানা জামশেদ। এই বয়ানের বাংলা অনুবাদ করেন কাকরাইল মসজিদের মাওলানা মুনির বিন ইউসুফ। সকাল ১০টায় বয়ান করেন দিল্লির মাওলানা আব্দুস সাত্তার। এই বয়ানের বাংলা তরজমা করেন মাওলানা জিয়া বিন কাসেম। জোহরের পর বয়ান করেন কাকরাইলের মুরুব্বী খান শাহাবুদ্দিন নাসিম। আসরের নামাজের পর থেকে বিভিন্ন জেলার তাবলীগের কাজের রিপোর্ট শুনা হয়। কাকরাইল মসজিদের শীর্ষ মুরুব্বী ও তাবলীগ জামাতের আহলে শূরা সৈয়দ ওয়াসি ফুল ইসলাম এ বিষয়ে জানান ৫ দিনব্যাপী এই জোর তাবলীগ একটি ঐতিহ্যবাহী ও গুরুত্বপূর্ণ দ্বীনি জামায়েত। এর সফলতার ওপর টঙ্গীর ময়দানে বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি ও আসামি এক বছরের কাজের অগ্রগতি নির্ভর করে। ইজতেমার ময়দানে জামিয়া কাশিফুল উলুম ঢাকার মুহতামিম বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন ও লেখক মাওলানা সৈয়দ আনোয়ার আব্দুল্লাহ জানান, ৫ দিনের এই জোরে ১৯টি দেশের প্রায় ৬শ’ বিদেশি মেহমান উপস্থিত হয়েছেন। আরো ৯শ’ মেহমান উপস্থিত হবেন। বিদেশি মেহমানরা আমাদের দেশের বিভিন্ন জেলায় দাওয়াতি কাজ করবেন। বাংলাদেশে ২২ লাখের মত তিন চিল্লার সাথী রয়েছেন। এরমধ্যে দেড় লক্ষাদিক তিন চিল্ল সাথী এই জোরে ইজতেমায় উপস্থিত থাকবেন।
তাবলীগের সাথী মোহাম্মদ সায়েম জানান, টঙ্গীর ময়দানে গত দুই বছর করোনা মহামারীর কারণে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়নি। ইজতেমার ময়দানে অনেক সংস্কার কাজ বাকি থাকায় সরকারের পরামর্শে কেরানীগঞ্জের মামুন সুরে এই ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী শনিবার সকাল দশটায় আখেরি মুনাজাতের মাধ্যমে এই ইজতেমা সমাপ্ত হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন