ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় বোমা বিস্ফোরণ ও টাওয়ারে আগুন জ্বালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে নাশকতা সৃষ্টি করার ঘটনায় এসআই কাজী আবুল বাশার বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাত আরো ৫০/৬০ জনকে আসামি করে নাশকতা মামলা দায়ের করেছেন।
শুক্রবার (০২ ডিসেম্বর) দুপুরে ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) সুমন কর মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (০১ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে নাশকতা মামলাটি দায়ের করা হয়। যার মামলা নং- ০২। পরে মামলার এজাহার নামীয় বিএনপির ৮ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের শুক্রবার (০২ ডিসেম্বর) দুপুরে ফরিদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বোয়ালমারী পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি আতাউর রহমান খাঁন (৫২), উপজেলা বিএনপির সদস্য ফরিদুল ইসলাম (৪৫), পৌর ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রফিক বিশ্বাস (৫০), দাদপুর ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি হামিদুল হক বকুল (৫৫), ফরিদপুর জেলা যুবদলের বনও পরিবেশ বিষয়ক সহসম্পাদক সিরাজ মৃধা (৫৪), শেখর ইউপি সদস্য (মেম্বর) বরকত মোল্যা (৫০), আবু নাসির মোল্যা (৫২), মুরাদ (৩৫)।
প্রসঙ্গ, বৃহস্পতিবার (০১ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার মাঝকান্দি-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহা সড়কের উপর সাতৈর জয়নগরে বিএনপি নেতা খন্দকার নাসিরুল ইসলামের ইট ভাটার সামনে দুবৃর্ত্তরা টাওয়ারে আগুন জ্বালায় এবং ককটেল জাতীয় বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ইটপাটকেল, বিস্ফোরিত বোমার অংশবিশেষসহ চারটি বোমা উদ্ধার করে। অন্যদিকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১২ রাউন্ট ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে।
পরে এঘটনা নিয়ে "বোয়ালমারী এলাকাজুড়ে আতঙ্ক নেতাশূন্য বোয়ালমারী,, এ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে ইনকিলাব
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বোয়ালমারী থানার (উপ-পরিদর্শক) এসআই আক্কাচ আলী বলেন, বোমা বিস্ফোরণ ও টাওয়ারে আগুন জ্বালিয়ে নাশকতা সৃষ্টি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলার পর ৮ আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের শুক্রবার দুপুরে ফরিদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন