টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী পৌরবাসীর সুপেয় পানি পাবার স্বপ্ন পূরণ হতে চলছে। সে লক্ষ্যে সার্বিক কার্যক্রম দ্রুততার সাথে এগিয়ে চলছে। আগামী ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে নূন্যতম ২০০/- বিনিময়ে পৌরবাসী ঘরে ঘরে এ সুবিধা পাবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। ইতোমধ্যেই এ প্রকল্পের প্রায় ৮৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পৌরবাসীর সুপেয় পানি নিশ্চিতের পাশাপাশি স্যানিটেশন বা পয়ঃপ্রণালি ব্যবস্থা উন্নয়নের কাজও এগিয়ে চলছে।
বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক সহযোগিতায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এ কার্যক্রমটি বাস্তবায়ন করছে। কাজ শেষ হলে এ সেবার আওতায় আসবে ৪০ হাজার ৪৬০ জন পৌরবাসী। নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দ্য সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স লিঃ ও ধনবাড়ী পৌর কতৃপক্ষ।
প্রাপ্ত তথ্য সূত্রে জানা যায়, পৌর এলাকায় পাইপলাইনে পানি সরবরাহ, কঠিনবর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও ফিক্যাল সøাজ ম্যানেজমেন্টসহ সার্বিক স্যানিটেশনের ব্যবস্থা, ওয়াটার ও স্যানিটেশন কার্যক্রমে জরুরি সহায়তা, বসতবাড়িতে উন্নত ল্যাট্রিন নির্মাণ এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ মোট ৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বিবিধ সুবিধা থাকবে পৌর উন্নয়নের এ কার্যক্রমে। নির্মাণাধীন কার্যক্রমটি গত ২০২০ সালের ১৬ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সুপেয় পানির কাজ চলমান রয়েছে। এতে ৬০০ কিউবিক লিটার পানি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এই ওভারহেড ট্যাংকিতে প্রতিবার ৬ লাখ লিটার পানি শোধন হবে। এ ট্যাংকটির মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের জন্য প্রতিদিন ১৮ লাখ লিটার পানি সরবরাহ করা হবে। এছাড়াও রিজার্ভ ট্যাংকে জমা থাকবে আরও ১২ লাখ লিটার পানি। দিনে তিনবার পানি সরবরাহ করা হবে এবং সুবিধাভোগীরা তাদের ব্যক্তিগত রিজার্ভ ট্যাংকিতেও প্রয়োজনীয় পানি মজুদ রাখতে পারবে।
গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, এ প্রকল্পের ৭০ ফুট উচ্চতার ওভারহেড ট্যাংকটির নির্মাণ কাজ চলছে পৌরশহরের মধ্যস্থিত ধান হাটিতে। ট্যাংকে পানি উত্তোলনের জন্য এখান থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে পৌরসভার চাতুটিয়া মৌজায় স্থাপন করা হয়েছে পানির পাম্প। বিভিন্ন যন্ত্র ও নির্মাণসামগ্রী দিয়ে কাজ করছে শ্রমিকরা। মাটির নিচে পাইপলাইনে করা হয়েছে পানি সরবরাহের সংযোগ এবং কয়েক স্থানে বসানো হয়েছে পানি মাপার মিটার। ইতোমধ্যেই সুপেয় পানি পেতে হাজারো গ্রাহক মাত্র ২০০/- জমা দিয়ে আবেদন করেছেন বলে তথ্য সূত্রে প্রকাশ। সংযোগ পেলে উপকারভোগীরা মাস শেষে ব্যবহৃত পানির বিল পরিশোধ করবেন। সে প্রেক্ষিতে বলা যায়, এ কার্যক্রমটি সুসম্পন্ন হলে নাগরিক সুবিধায় এ পৌরসভাটি আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।
পৌর মেয়র মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান বকল বলেন, ‘সুপেয় পানি সরবরাহের কাজ দ্রুততায় এগিয়ে চলছে। এছাড়াও একটি ডাম্পিং স্টেশনের কাজ প্রক্রিয়াধীন। সেটি চালু হলেই শহরের সব ময়লা-বর্জ্য সেখানে শোধন করা যাবে, যা থেকে জৈবসার ও গ্যাস তৈরি হবে। এছাড়াও শহরের সেনিস্টেশন ও পয়ঃপ্রণালির সার্বিক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন