বিনা নোটিশে তালতলী উপজেলার ছোটবগী বাজারের ১৪৭টি দোকান উচ্ছেদ করা হয়। প্রতিবাদে সড়ক ও নৌপথ অবরোধ ও সাপ্তাহিক হাট বন্ধ করে ধর্মঘট পালিত হয়েছে।
সরোজমিনে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সকালে বিনা নোটিশে বেকু দিয়ে অকস্মাৎ বরগুনার তালতলী উপজেলার ছোটবগী বাজারের দোকানপাট ভাঙচুর শুরু হয়। পুলিশের প্রহরায় বরগুনা জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান উপস্থিতিতে এবং নির্দেশে বেকু চালক একের পর এক দোকান পাট ভাঙতে শুরু করে। দোকান মালিকদের অনুরোধ কোন কাজে আসেনি। দোকানের ভেতরে থাকা লাখ লাখ টাকার মালামাল সরিয়ে নেয়ার কোন সুযোগ পায়নি দোকানিরা। একটানা ৫ ঘণ্টা ভাঙচুর করে বাজারের ১৪৭টি কাঁচা পাকা দোকানের ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এর প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ দোকানীরা গত শুক্রবার ছোটবগী বাজারের সাথে সড়ক যোগাযোগ, নৌপথ ও খেয়া পাড়াপাড় বন্ধ এবং গতকাল শনিবার মানববন্ধন করেন। তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধর্মঘট আহবান করে সাপ্তাহিক হাট বন্ধ করে দিলে দূর দুরান্ত থেকে আগত মাছ ব্যবসায়ী, কাঁচামাল ব্যবসায়ী, মুদি-মনহারি ব্যবসায়ীসহ গরু ব্যবসায়ীরা হাট থেকে ২ কিমি: পূর্বে দিকে পিকে স্কুল নামক স্থানে হাট বসায় এবং সেখানে দিনভর বেচা-কেনা করে।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম সাদিক তানভীর জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভেড়িবাধে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের তালিকা ভুক্ত ছিল। তাই বরগুনা জেলার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মে: মনিরুজ্জামান এ উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।
ছোটবগী বাজারের সাধারন সম্পাদক মো. দেলোয়ার সিকদার জানান, এই বাজারটি প্রায় দেড়শ’ বছর পূর্বে এক ঐতিহ্যবাহী বাজার এই বাজারে ৬০/৭০ বছর ধরে ওয়াপদা বেড়িবাঁধের ওপর ব্যবসায়ীরা দোকানদারী করে আসছে। পানি উন্নয়ন র্বোডের কর্মকর্তা কোন মাইকিং বা নোটিশ না ছাড়াই হুট করে দোকানগুলো ভাঙছে আমাদের দাবি দোকানিদের পূর্ণবাসন করা। দোকানীরা বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন