লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার শাকচর ইউনিয়নের শাকচর গ্রামে চলতি আমন মৌসুমে ৪০ শতক জমিতে বেগুনি রঙের ধান চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন সিরাজ উদ্দিন। সবুজ ফসলের মাঠে এই ভিন্ন রং ও ভিন্ন জাতের ধান চাষ করে সবার দৃষ্টি কেড়েছেন তিনি। বেগুনি রঙের ধান চাষের খবর ছড়িয়ে পড়ায় প্রতিদিন স্থানীয়রা একনজর দেখতে ভিড় জমান ধান খেতে।
সম্প্রতি মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, বেগুনি রঙের ধান কেটে মাড়াই করেছেন সিরাজ উদ্দিন। ফলনও হয়েছে ভালো। শতকপ্রতি ৫০ কেজি ধান পাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। চিকন কিংবা মোটা নয়, মাঝারি ধরনের এ ধানের চাউলের ভাত খেয়ে ভবিষ্যতে এ ধান চাষ ছড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
সিরাজ উদ্দিন জানান, একই এলাকার বর্গা চাষি তার জামাতা আজাদ তার এক বন্ধুর মাধ্যমে চীন থেকে ৩ কেজি ধান এনেছিলেন চাষ করার জন্য। কিন্তু তিনি মহাজনদের থেকে জমি না পাওয়ায় পরে ধানগুলো শ্বশুর সিরাজকে দেন। সিরাজ উদ্দিন সেগুলো অন্য ধানের মতোই নিজের জমিতে চাষ করেন। এখন প্রথম বছরই ভালো ফলন পেয়েছেন।
তিনি জানান, অন্যান্য জাতের ধানের চেয়ে বেগুনি রঙের ধানের কুশির সংখ্যা বেশি হওয়ায় এ ধানের ফলন বেশি হয়েছে। ধানের শীষের গোড়া শক্ত হওয়ায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের বাতাসে ধান নুয়ে পড়েনি। পোকাণ্ডমাকড়ের আক্রমণ কম ছিল। খেতে একবার করে সার ও কীটনাশক দিয়েছিলেন। রোপণের সময় প্রতি গোছায় ২-৩টি ধানের চারা রোপণ করেছিলেন। ধান কাটার সময় প্রতি গোছায় ১৫-১৬টি ধানের শীষ কেটেছেন। চাল ও ভাতের রং এবং স্বাদ কেমন হবে, তা জানাতে পারেননি তিনি।
লক্ষ্মীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. জাকির হোসেন জানান, বেগুনি রঙের ধান চাষ সম্পর্কে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন