শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

শুরুতেই লুটপাটের অভিযোগ

ইসলামপুরে কর্মসৃজন প্রকল্প

ফিরোজ খান লোহানী, ইসলামপুর (জামালপুর) থেকে | প্রকাশের সময় : ৫ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

জামালপুরের ইসলামপুর ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের প্রথম পর্যায়ে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি’র) কাজ শুরুতেই অনিয়ম কর্ম দিবসে ফাঁকি অভিযোগের মধ্য দিয়ে শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের সভাপতিরা।
জানা যায়, জেলার ইসলামপুর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ৫৫টি প্রকল্পের মাধ্যমে ২ হাজার ৮শ’ ১৪ জন শ্রমিক দিয়ে কাজ করার কথা। দৈনিক ৪০০ টাকা হারে শ্রমিক মুজরি পাবেন। প্রকল্পে মোট বরাদ্দ ৪ কোটি ৫০ লাখ ২৪ হাজার টাকা ও ননওয়েজ কষ্ট প্রায় ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে শ্রমিক নির্বাচন করে শ্রমিকদের জব কার্ড বিতরণ করে ২৬ নভেম্বর সংশ্লিষ্ট এলাকায় সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে প্রকল্পের কাজ শুরু করার কথা।
সরেজমিনে দেখা যায়, ইসলামপুর উপজেলার পাথর্শী ইউনিয়নে ৬টি প্রকল্পের মধ্যে কোন প্রকল্পের তালিকাভূক্ত জব কার্ড ধারী শ্রমিক পাওয়া যায়নি। ধর্মকুড়া-গুঠাইল পাকা রাস্তায় পারিবারিক গোরস্থান হতে বড়দেলির পাড় শাহজাহানের বাড়ি পর্যন্ত ২৯নং প্রকল্প রাস্তা মেরামতে ৭৫জন শ্রমিক রাস্তার কাজ করার কথা থাকলেও সেখানে কোন শ্রমিক পাওয়া যায়নি।
এ প্রসঙ্গে প্রকল্পের সভাপতি মোছা. লতিফা বেগম জানান, সামনে ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসল চাষের সময় জমি থেকে মাটি কাটা যাবে না। তাই আমরা আগেই মাটি কেটে রাস্তা নির্মাণ করেছি।
এ ব্যাপারে এলাকার কয়েকজন জানান, ১৫-২০ দিন আগে ট্রাকটার গাড়ি দিয়ে এই ভাঙা রাস্তাটুকু কাজ করেছে। অপর দিকে দেলিরপাড় উত্তর খানপাড়া জামে মসজিদ হতে খালেক মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামত ২৮নং প্রকল্পে দেখা যায়, ৫০ জন শ্রমিক কাজ করার কথা থাকলেও কোন শ্রমিক পাওয়া যায়নি। ওই প্রকল্পের সভাপতি হাসান হাবিবুল্লা জানান, রাস্তার দু’পাশে ধান কাটা হলে রাস্তার কাজ ধরতে পারবো।
পাথর্শী ইউনিয়নের ৬টি প্রকল্পে দেখা যায় প্রকল্পের কোন শ্রমিক পাওয়া যায়নি। কোন প্রকল্পেই সাইনবোর্ড টাঙ্গানো হয়নি। এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রতি বছরই এ ধরণের প্রকল্পের লাখ লাখ টাকা সরকার বরাদ্দ দেয় এসব বরাদ্দের কোন কাজ হয়না। রাস্তা নির্মাণে মেরামতের টাকা সিংহভাগ প্রকল্পের সভাপতির পেটে চলে যায়। এ ব্যাপারে কর্মসৃজন কর্মসূচীর কাজ ২৬ নভেম্বর শুরুর কথা থাকলেও সভাপতি মোছা. লতিফা বেগম কাজ শেষ হয়েছে বলে জানায়।
উপরোক্ত কথাটি প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান টিটুকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, জিন-পরীরা এসে মাটি কেটে রাস্তা মেরামত করছেন নাকি? প্রকল্প তদারকি ট্যাগ অফিসারকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, আমি কোন চিঠি পাইনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন