কুমিল্লার দাউদকান্দিতে নভেম্বর মাসে সড়ক ও মহাসড়ক থেকে পৃথক পৃথক পুলিশি অভিযানে ১০ লক্ষ ১৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে পুলিশের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকলেও নভেম্বর মাসে অভিযান আরো জোরদার করা হয়। মহাসড়কে নিষিদ্ধ থ্রি হুইলার ও অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করতে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার অংশে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ মহাসড়কে নিষিদ্ধ ২৮৬টি যানবাহন আটক করা হয়। আটককৃত বাহনগুলোকে ২৮৬টি মামলায় ৭ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অন্যদিকে কুমিল্লা জেলা পুলিশের উদ্যোগে দাউদকান্দি মডেল থানাদীন ট্রাফিক বিভাগ, অত্র থানার আওতায় বিভিন্ন স্পটে অবৈধ মোটরসাইকেল বন্ধে অভিযান চালায়। অভিযানে অবৈধ ও মেয়াদ উত্তীর্ণ কাগজপত্র ওয়ালা ৯৫টি মোটরসাইকেল আটক করা হয়। আটককৃত মোটরসাইকেল গুলোকে ৯৫টি মামলায় ৩ লাখ ১৫শ’ টাকা জরিমানা করা হয়।
হাইওয়ে পুলিশ ও জেলা পুলিশের পৃথক পৃথক অভিযানে দাউদকান্দিতে নভেম্বর মাসেই সড়ক থেকে ১০ লক্ষ টাকার ও বেশি জরিমানা আদায় করা হয়। দাউদকান্দি উপজেলার আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় এসব তথ্য উঠে আসে। মহাসড়কের পাশ দিয়ে সার্ভিস রোড না থাকায় স্বল্প দূরত্বের জায়গাগুলো স্থানীয় লোকজন থ্রি হুইলার নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় যাতায়াত করে থাকে। যেমন উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের বেকিনগর, বাঁশরা, দৌলতপুর, মালিগাঁও ইউনিয়নের চাপাতলী, লখাইতলী ও হাটখোলা গ্রামের লোকজন উল্টো পথে ঢাকামুখী সড়ক ব্যবহার করে ইলিয়টগঞ্জ বাজারে যেতে হয়। সম্পূর্ণ দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়েই এ গ্রামগুলোর হাজার হাজার লোকজনকে মহাসড়ক ব্যবহার করতে হচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দুই লেন থেকে চার লেনে উন্নীত করার সময়, সড়কের জিংলাতলী থেকে পুটিয়া পর্যন্ত ঢাকামুখী সড়কের ব্যাক ও পুটিয়া থেকে ইলিয়টগঞ্জ পর্যন্ত চট্টগ্রামমুখী সড়কের ব্যাক সোজা করার ফলে ভোগান্তি শুরু হয় তাদের। সড়ক চার লেনে উন্নীত করনের পাঁচ বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও সড়কের পাশে কোনো সার্ভিস রোড নির্মাণ করা হয়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন