গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে খাবারের মধ্যে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে পরিবারের সকলকে অজ্ঞান করে টাকাসহ স্বর্ণালঙ্কার চুরি করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। গত সোমবার সকালে গুরুতর অজ্ঞান তিন জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের ঘগোয়া গ্রামে চৈতন্যবাজার সংলগ্ন ময়মর আলী ব্যাপারীর বাড়িতে ঘটেছে।
প্রতিবেশীরা জানায়, গত রোববার সন্ধ্যায় ছদ্যবেশে দুই মহিলা ঘগোয়া গ্রামের মৃত জাফর ব্যাপারীর ছেলে ময়মর ব্যাপারীর বাড়িতে গিয়ে তাদের সাথে থাকা এক শিশুর ক্ষিদে পেয়েছে বলে খাবার চেয়ে নিয়ে শিশুটিকে খাওয়ায় এবং সেই সুযোগে ওই বাড়ির খাবারে এবং নলকূপের পানিতে চেতনানাশক ওষুধ মেশায়। গত সোমবার সকালে ওই গ্রামের লোকজন ওই বাড়িতে গিয়ে দেখতে পায় গেটের তালা ভাঙা, ঘরের দরজা খোলা, আসবাবপত্র এলোমেলো এবং সকলেই ঘুমিয়ে আছে। প্রতিবেশীদের ধারণা, ময়মর ব্যাপারীর পরিবারের সবাই চেতনানাশক খাবার খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। তারা আরও দেখতে পায় ৩টি ঘরের আলমারির তালা ভাঙা এবং নগদ টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার কিছুই নেই।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। গুরুতর অচেতন ময়মর ব্যাপারী, তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম ও নাতি নাঈম মিয়া এখনও চিকিৎসাধীন। ওই পরিবারের স্বজনদের মাধ্যমে জানা গেছে, তাদের এখনও জ্ঞান ফিরেনি। জ্ঞান ফেরায় ময়মর ব্যাপারীর মা সাহেরান বেগম বাড়িতেই আছেন। এ বিষয়ে থানার ওসি সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই পরিবারের সকলের চেতনা ফিরলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন