৭ বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষক ৬০ বছরের কথিত দাদাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নের চাপাঝুড়া গ্রামে। ধর্ষক কবির আলী ওরফে লক্ষি (৬০) কে পুলিশ গত বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করেছে। সে ওই গ্রামের মৃত আমজাদ আলীর ছেলে। ধর্ষিতার পরিবার ও পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার বিকেলে ৭ বছরের কন্যা শিশুকে প্রতিবেশী কথিত দাদা কবির আলী ওরফে লক্ষি হাত-পা বেধেঁ ধর্ষণ করে। ঘটনার কথা কাউকে বললে তাকে মেরে পুকুরের পুঁতে রাখার ভয় দেখিয়ে ছেড়ে দেয়। ভয়ে শিশু তার বাবা-মাকে না বলে পাশের ভালুকা গ্রামে বোনের বাড়ি চলে যায়। শিশুর বাবা-মা শিশুকে খোঁজে ভালুকায় পায়। শিশু প্রতিবেশী কর্তৃক ধর্ষণের কথা বাবা-মাকে বলে। শিশুর বাবা-মা শিশু ধর্ষণ নিশ্চিত হয়ে প্রতিবেশী আত্মীয় স্বজনদের জানালে রাতেই বিষয়টি মিমাংশার কথা চলাকালে খবর পেয়ে দুই সাংবাদিক ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুর বাবা-মা ও ভাইকে ঝিনাইগাতী হাসপাতালে নিয়ে আসে। মেডিক্যাল অফিসার ফাতেমাতুজ জোহরা শিশুর আলামত দেখে ধর্ষণ নিশ্চিত হয়ে ঝিনাইগাতী থানার ওসি মো: মনিরুল আলম ভুঁইয়াকে সংবাদ দেন। খবর পেয়ে ওসি মো. মনিরুল আলম ভুঁইয়া এসআই রোকসানাকে হাসপাতালে পাঠান। সে শিশুর ধর্ষণ আলামত দেখে শিশুসহ বাবা-মাকে থানায় আনেন। গত বৃহস্পতিবার রাতেই শিশুর পিতা বাদী হয়ে কবির আলী ওরফে লক্ষির বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন।
ওসি মো. মনিরুল আলম ভুঁইয়ার অভিযানে বৃহস্পতিবার রাতেই ধর্ষকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
ঝিনাইগাতী থানার ওসি মো. মনিরুল আলম ভুঁইয়া সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার হয়েছে। ধর্ষককে কোর্টে সোপর্দ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন