শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

রাঙ্গুনিয়ায় ফসলি জমিতে ইটভাটা

প্রকাশ্যে পোড়ানো হচ্ছে জ্বালানি কাঠ

নুরুল আবছার চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ১০ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০৫ এএম

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার ইসলামপুর গলাচিপা এলাকায় ফসলি জমিতে গড়ে উঠেছে একাধিক ইটভাটা। পাহাড় কেটে ও ফসলি জমির টপসয়েল কেটে লাখ লাখ ইট প্রস্তুত করছে শ্রমিকরা। এসব ইট আগুনে পুড়াতে ব্যবহার হচ্ছে হাজার হাজার টন জ্বালানি কাঠ। ভাটার কালো ধোয়ায় চারিদিকে ছড়িয়ে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। ধ্বংস হচ্ছে জীব বৈচিত্র্য। হুমকির মুখে পড়েছে শত শত একর জমির চাষাবাদ।

সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের গলাচিপা নামকস্থানে চৌমুহনী-গাবতল সড়কের পাশে পাহাড় ঘেরা দুই ফসলি জমিতে এবিএম-১ নামের ইটভাটা গড়ে উঠেছে। ইটভাটার শ্রমিকরা জানান, পাহাড়ের মাটি দিয়ে তৈরি ইট খুবই মানসম্মত হয়। এসব ইট জ্বালানি কাঠ দিয়ে পুড়ানো হচ্ছে। এবছর জ্বালানি কাঠের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। কয়লা দিয়ে ইট পুড়ালে লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হয়। বাধ্য হয়ে কয়লার পরিবর্তে এবিএম-১ ইটভাটায় শত শত টন জ্বালানি কাঠ পুড়ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শ্রমিক জানান, ইটভাটায় কাজে নিযুক্ত শ্রমিকরা মুখে মাক্স ব্যবহার করে না। ভাটার ধুলোবালি নাক-মুখে একাকার হয়ে যাচ্ছে। প্রায় সময় শ্রমিকরা শ্বাসকষ্ট, হাঁপানিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। প্রতিদিন হাঁড়ভাঙা পরিশ্রম করেও পর্যাপ্ত বিশ্রামের সুযোগ নেই বলে শ্রমিকরা জানিয়েছেন।

গলাচিপা এলাকার একাধিক কৃষক জানান, ভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়া পোড়াগন্ধ পরিবেশকে বিষিয়ে তুলেছে। আগের মত জমিতে সবজি ও ধান উৎপাদন হচ্ছে না। পরিবেশের ক্ষতিকারক ইটভাটাগুলো বন্ধ করতে দ্রæত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলালাবাসী।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে এবিএম-১ ইটভাটার ব্যবস্থাপক রনি দাশ বলেন, জমি ও পাহাড়ের মাটি দিয়ে ইট তৈরি করা হচ্ছে। কয়লার দাম বৃদ্ধি পাওয়াতে বনায়ন থেকে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করে ভাটা পুড়ানো হচ্ছে। এসব বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলার পরিবেশ অধিদপ্তর এর দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ইটভাটা চলানো হচ্ছে। পত্রিকায় লিখলেও কিছুই হবে না। পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে এর ভিত্তিতে যারা একশ্যানে যাবে তাদেরকে ম্যানেজ করেছি। তিনি খুব উত্তেজিত কন্ঠে বলেন, যান যান আপনাদের মতো গ্রাম্য রিপোটারদের সংবাদে ভাটার মালিক পক্ষের কিছুই হবে না। আমার সময়ের দাম আছে, বিরক্ত করেন না, সরে দাড়ান।

চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের ইছামতি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সাজ্জাত বলেন, কাঠ পাচাররোধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন