শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়ার হলদীগ্রামে বিএডিসির বুক চিরে এলজিইডির পাইপলাইন প্রকল্পে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিএডিসির ৬টি স্কীম।
জানা যায়, উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের হলদীগ্রাম ও ফাকরাবাদ এলাকায় গত ৮/৯ বছর আগে ১৫টি বিএডিসির সেচ প্রকল্প স্থাপিত হয়। ১৫ সেচ প্রকল্পে ওইসব এলাকার আনুমানিক ৭শ’ একর জমিতে ধান ও সবজি উৎপাদন করা হচ্ছে। কিন্তু গত বছর জাইকার প্রকল্পের মাধ্যমে হলদীগ্রাম মৌজার মহারশি নদীর সীমান্ত ঘেষে এলজিইডি পাইপ লাইন স্থাপন করলে বিএডিসি ও এলজিইডির মধ্যে শুরু হয় চরম দ্বন্দ্ব। এলজিইডি ও বিএডিসি›র কর্মকর্তা ও স্থানীয় সংসদ সদস্য একেএম ফজলুল হকের সমন্বয়ে পাশের নালিতাবাড়ী উপজেলার সমশ্চুড়ার রঞ্জনা ঝর্ণা পর্যন্ত এলজিইডি’র পাইপলাইন নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সে ভাবেই কাজ করে এলজিইডি। কিন্ত গত কদিন থেকে আবার হলদীগ্রামে ৬টি বিএডিসির পাইপ লাইনের ভেতর দিয়ে এলজিইডির লাইনের কাজ শুরু করায় ফুঁসে উঠছে হলদীগ্রামের লোকজন। এতে ব্যাপক ক্ষতির সন্মুখিন হবে বিএডিসির ৬ প্রকল্পের পাইপ লাইন।
এ ব্যাপারে বিএডিসির স্কীম ম্যানেজার শাহজাহান, চান মিয়া, মান্নান, ছামিউল, আমিনুল ও মফিজ উদ্দিন জানান, যেখানে বিএডিসি›র সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে গত ৮/৯ বছর ধরে পানি সরবরাহ করে আসছে। বিএডিসি আনুমানিক ৭/৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প গ্রহণ করেছে। সেখানেই সে প্রকল্প লন্ডভন্ড করে এলজিইডি›র পাইপ লাইন করার যৌক্তিক কোন কারণ নেই। এই ব্যাপক ক্ষতি থেকে পরিত্রাণ চায় এলাকাবাসী।
বিএডিসি›র সেচ প্রকল্পের শেরপুর জেলার সহকারী প্রকৌশলী ওয়াশিম আক্রাম বলেন, বিএডিসি›র পাইপ লাইনের ভেতর দিয়ে এলজিইডি›র পাইপ লাইন প্রকল্প হাতে নেয়া কোনভাবেই ঠিক হচ্ছেনা। আমরা বিভাগীয় ভাবে বিষয়টি দেখবো।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সেচ কমিটির সভাপতি মো. ফারুক আল মাসুদ বলেন, বিএডিসি›র প্রকল্প যেখানে সেবা দিচ্ছে, সেখানে একই স্থানে এলজিইডি›র আরেকটি প্রকল্প গ্রহন ঠিক নয়। দৈততা পরিহার করে অন্য স্থান দিয়ে প্রকল্প গ্রহণ করা প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন