প্রায়ই চুরি হচ্ছে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার, ক্রাশার মিল, দোকানপাট, ঘরবাড়ি। এসব ঘটনায় চোরের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করলেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে এসব চোর। প্রায় সময় এলাকাবাসী চোর আটক করে পুলিশে সোপর্দ করছে। আবার অনেকেই থানা-পুলিশ না করে সালিশ বিচারের মাধ্যমে সমাধান করে ফেলছেন। সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ জুড়ে ঘটছে এমন ঘটনা। পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্থানে বিট পুলিশিং সভা করে সচেতন করার চেষ্টা করা হলেও কাজ হচ্ছে না। মামলার বাদী ও এলাকাবাসীরা বলছেন পুলিশের জোড়ালো ভুমিকা না থাকায় বন্ধ হচ্ছে না চুরি। যার ফলে অনেক এলাকার বাসিন্দারা চোরের ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।
গত শুক্রবার দিনগত রাতে উপজেলার কালাইরাগ গ্রাম থেকে একটি ট্রান্সফরমার চুরি হয়ে যায়। গত ৮ ডিসেম্বর রাতে বালুচর গ্রামে জনতার হাতে আটক হয় এক চোর। একই রাতে উপজেলার নারাইনপুর গ্রামে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার চুরির চেষ্টা করে চোরেরা। এ সময় তারা বিদ্যুতের খুটিতে উঠে ট্রান্সফার চুরির চেষ্টা চালায়। কিন্তু রাস্তাদিয়ে লোকজনের চলাফেরা থাকায় বিদ্যুতের খুঁটির ছিদ্রে রড আটকানো রেখেই পালিয়ে যায়। এর আগে বুধবারি বাজার, শিমুলতলা নয়াগাঁও, রাধানগর থেকে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার চুরি হয়। এ ছাড়াও কলাবাড়ি শুভেচ্ছা স্টোন ক্রাশারসহ বেশ কয়েকটি ক্রাশার মিলে চুরির ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন দোকানপাট ও ব্যবসাপ্রষ্ঠানের চুরির সিসিটিভির ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছে। গত ২৭ নভেম্বর কোম্পানীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের ডেপুটি জেনারেল ম্যানাজার বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার চোরদের নাম উল্লেখ করে মামলা হলেও এখনো কাউকে ধরতে পারেনি থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট সার্কেলের সিনিয়র এএসপি প্রভাস কুমার সিংহ জানান, আসামিরা এখনো ধরা পড়েনি। কিন্তু তাদের ধরার জন্য আমরা চেষ্টা করতেছি। গত ৮ ডিসেম্বর রাতে একজন চোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে আমরা কিছু তথ্য পেয়েছি। সে বিষয়েও কাজ করা হবে। তবে ট্রান্সফরমার চুরি করা এক্সপার্ট লোক ছাড়া সম্ভব নয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন