বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

কুমিল্লায় বাড়ছে খুনের ঘটনা

বছরজুড়ে ৮০ খুনের মামলার ২৪ চার্জশিট জমা

সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে | প্রকাশের সময় : ১১ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

শিক্ষা, সংস্কৃতি ও প্রাচীন ঐতিহ্যের জেলা কুমিল্লা। চলতি বছর এ জেলায় গত ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮০টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। একের পর এক খুনের ঘটনায় আতঙ্কিত সময় পার করেছে সাধারণ মানুষ। আধিপত্য বিস্তার, পরকীয়া, পারিবারিক কলহ, সম্পত্তি বিরোধসহ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিমাসে জেলায় গড়ে ৭টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এসব খুনের ঘটনায় ৮০টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ২৪টি চার্জশিট আদালতে জমা হয়েছে।
কুমিল্লা জেলা পুলিশের অপরাধচিত্রের তথ্যানুসারে এ বছর জানুয়ারি থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত কুমিল্লার ১৭টি থানা এলাকায় ৭৬টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। আর চলতি মাসের ৯ তারিখ পর্যন্ত আরও চারটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল পর্যন্ত পারিবারিক কলহ ও সম্পত্তি বিরোধে সবচেয়ে বেশি ২৪টি খুন হয়েছে। আর পূর্ব শত্রুতার জেরে ১৩টি, অজ্ঞাত কারণে ১২টি, পরকীয়ায় ২টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া ছোটখাটো অন্যান্য বিষয় নিয়েও বেশ কিছিু খুনের ঘটনা ঘটেছে।
সবমিলে গত ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলা জুড়ে ৮০ খুনের ঘটনার সবকটিই মামলা হয়েছে। এসব মামলায় এজহার নামীয় আসামি হয়েছেন ২৭১ জন। গ্রেফতার হয়েছেন ১২২ জন। আদালতে ঘটনার বিষয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন ৭৬জন। বছরজুড়ে ওই ৮০ খুনের মামলার ২৪টির চার্জশিট আদালতে জমা হয়েছে। আর ৫২টি খুনের মামলার তদন্ত চলছে।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) খন্দকার আশফাকুজ্জামান জানান, পুলিশ সবকটি খুনের মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে। কিছু মামলার চার্জশিট দেয়া হয়েছে। কয়েকটি মামলার তদন্ত চলমান। এগুলোর তদন্ত শেষ হলেই রিপোর্ট দেয়া হবে।
পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, পারিবারিক কলহ ও সম্পত্তি বিরোধের ঘটনার বিষয়ে সাধারণ মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে।
কুমিল্লার বিশিষ্টজনরা বলছেন, সামাজিক, পারিবারিক অস্থিরতা, আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্ধ ও অপরাধ প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় জেলায় খুনোখুনির ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি উদ্বেগজনক। তাই সমাজে বসবাসকারিদের একে অন্যের প্রতি সহনশীল হতে হবে। সম্পর্কের উত্তরণ ঘটাতে হবে। এছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, টহল ব্যবস্থা জোরদার এবং সাধারণ মানুষের অভিযোগ, পরামর্শ আমলে নেয়ার জন্য থানাগুলোতে নাগরিক সেবার মান বাড়াতে পারলে সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে এবং তাতে বিচ্ছিন্নভাবে সংঘটিত হত্যাকান্ড ও অন্যান্য অপরাধ প্রবনতা কমে আসবে। সর্বোপরি সব ধরনের অপরাধ দমনেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদা তৎপর থাকবে, এটাই কাম্য। অপরাধীদের দ্রুত বিচার সম্পন্ন করার বিষয়টিও খুব গুরুত্বপূর্ণ। অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি মানুষের নৈতিক অবক্ষয় রোধেও নিতে হবে কার্যকর পদক্ষেপ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন