কুমিল্লার তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি নিহত জহিরুল ইসলামের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন কুমিল্লা-২ (তিতাস-হোমনা) আসনের সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ মেরি। তিনি বলেন, জহির হত্যায় যারা জড়িত তাদেরকে বিন্দুমাত্রও ছাড় দেওয়া হবেনা। তিনি বিক্ষুব্ধ জনতার সামনে আরো বলেন, যারা জহিরকে নির্মমভাবে প্রকাশ্যে দিনে দুপুরে হত্যা করেছে তারা কোনো মানুষ নয়, তারা অমানুষ। তাদের বিচার এই মাটিতেই হবে, প্রয়োজনে এই হত্যাকান্ডের বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলবেন, যারা এই হত্যার সাথে জড়িত তারা কেউই ছাড় পাবেনা। তিনি পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আরো বলেন, যত দ্রæত সম্ভব খুনিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য। গত শনিবার বিকালে উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়ন মানিককান্দি গ্রামে নিহত জহিরের বাড়িতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, তিতাস উপজেলা আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী, সিনিয়র সহ-সভাপতি মুন্সি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. মহসিন ভ‚ঁইয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী নাছির উদ্দীন, কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মো. সারওয়ার হোসেন বাবু, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও উপজেলা সদর কড়িকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম মুরাদ, মজিদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম সরকার, উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. সাজ্জাদ সিকদার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এ কে এম কামরুল হাসান তুষার, সাধারণ সম্পাদক খায়রুল খন্দকার রুবেল প্রমুখ। উক্ত ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই এছহাক মোল্লা বাদী হয়ে একাধিক জনপ্রতিনিধিসহ ৪৩ জনের নাম উল্লেখ করে ১০-১৫ অজ্ঞাত রেখে তিতাস থানায় হত্যা মামলা রুজু করা হয়। উল্লেখ্য গত ৬ ডিসেম্বর-২০২২ বিকাল ৩টায় আধিপত্য বিস্তার ও মাছা ধরাকে কেন্দ্র করে জহিরুল ইসলাম (৩৫)কে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হাত পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন