কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় গড়ে উঠেছে মোট ৪৯টি ইটভাটা, অধিকাংশ ইটভাটারই কাগজপত্র নেই। বছরের পর বছর আবাদি জমির টপসয়েল (কৃষি জমির ওপরের উর্বর অংশ) কেটে এনে পুরানো হচ্ছে ইটভাটায়। স¤প্রতি ড্রেজার দিয়ে কাটা হচ্ছে তিন ফসলি জমি ও ট্রাক্টও যোগে মাটি নেয়া হচ্ছে ইটভাটায়। এমন সংবাদ প্রকাশিত হলে, বিষয়টি মহামান্য সুপ্রীম কোর্টে কৃষি ও পরিবেশ ফাউন্ডেশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আবুল কালাম আজাদ উজ্জল এবং মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. মহিউদ্দিন জুয়েল মহামান্য সুপ্রীম কোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন।
যার ফলে গত ৬ ডিসেম্বর সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি মো. মজিবর রহমান মিয়ার বেঞ্চ রিট পিটিশন শুনানী শেষে কুমিল্লা পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহ কর্মকর্তা মুরাদনগর ও সহকারী কমিশনার (ভ‚মি), বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি ও মুরাদনগর থানার ওসিকে অবৈধ ড্রেজার, অবৈধ ব্রিক ফিল্ড বন্ধ, কৃষি জমির উর্বর মাটি কেটে ইট ভাটায় ব্যবহার বন্ধে ও ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় জরিপ করে গর্ত সমূহ ভরাট করতে আগামী ষাট দিনের মধ্যে পরিকল্পনাসহ রিপোর্ট প্রদানের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
জানা যায়, উপজেলায় ২০১৭-২০১৮ সালে আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ছিল ২৪ হাজার ২৯৩ হেক্টর (৬০ হাজার ২৪.০০৩ একর)। বর্তমানে ২০২১-২০২২ সালে আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ কমে দাড়িয়েছে ১৯ হাজার ২৯৩ হেক্টরে (৪৭ হাজার ৬৭৩.০০৩ একর)। গত পাঁচ বছরে ৫ হাজার হেক্টর (১২ হাজার ৩৫৫ একর) আবাদি জমে কমেছে। তার মানে বছরে আবাদি জমি বিলিন হচ্ছে ২ হাজার ৪শ’ ৭১ একর। অপরিকল্পিত বসতবাড়ি নির্মাণ, অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে কৃষি জমি খনন, ইটভাটাসহ নানা স্থাপনায় হারিয়ে গেছে এসব জমি।
মুরাদনগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.নাজমুল হুদা বলেন, অল্প কিছু দিন হলো এই উপজেলায় যোগদান করেছি। গত এক বছরের রেজিস্টার খাতা ঘেটে দেখলাম প্রায় দুশ’ ড্রেজার জব্দ করে জেল জরিমান করা হয়েছে। গত এক সপ্তাহের মধ্যে তিনটি মামলা ও দুইজনকে জেল দিয়েছি। তাতেও ধমে যাচ্ছে না ড্রেজার ব্যবসায়ীরা। অপর দিকে ব্রিক ফিল্ডগুলোর কাগজপত্র খতিয়ে দেখবো।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন