শেরপুরে ট্রাকযুগে গরু চুরি শুরু হওয়ায় গরু নিয়ে আতঙ্কে আছে কৃষকরা।
সম্প্রতি গরু চুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকেই গরু পাহাড়া দিতে নির্ঘুম রাত
যাপন
করছেন। ১০ ডিসেম্বর রাতে শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর টাঙ্গারিয়া পাড়ার
কৃষক ক্ষুদ্র খামারী নাজির হোসেনের বিদেশী অস্ট্রেলিয়ান জাতের দুটি
গাভীসহ চারটি গরু চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা। গরুগুলোর আনুমানিক মূল্য হবে
প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা।
জনাব নাজির হোসেন জানান, তিনি রাত তিনটা পর্যন্ত গোয়াল ঘরে গরু পাহাড়া
দিয়ে শয়ন ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়েন। এরপরপরই তার গুরগুলো চুরি হয়ে যায়।
চরশেরপুর নাজিরাগাড়ায় একটি সিসি ক্যামেরায় দেখা যায় নীল রঙ্গের একটি
ট্রাকে গরুগুলি ভোর তিনটা সাইত্রিশ মিনিটে নিয়ে যায় চোরেরা। এসময় একটি
মোটর সাইকেলে চোরদের যেতেও দেখা যায়। গরু চুরি হয়ে যাওয়ায় ওই কৃষক
দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানায় ১১ ডিসেম্বর রাত
সাড়্এগোরোটার সময় অজ্ঞাতদের আসামী করে একটি অভিযোগ দিয়েছেন কৃষক নাজির
হোসেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বছির আহমেদ
বাদল।
এর আগেও সম্প্রতি সদর উপজেলার ধাতিয়াপাড়া গ্রামের কৃষক সমেজ উদ্দিনের
ছয়টি গরু একই কায়দায় চোরেরা চুরি করে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ছয়
লক্ষ টাকা। এতে ওই কৃষক নিশ্ব হয়ে পড়েছে। এছাড়াও সম্প্রতি এলাকায় গরুচুরি
বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে কৃষকরা গরু নিয়ে দূশ্চিন্তায় আছে। অনেক কৃষক চোরের
হাত থেকে গরু বাচাঁতে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। আবার কেউ কেউ পালাক্রমে গরু
পাহাড়া দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে চরশেরপুর ইউনিয়নের বালুরঘাট এলাকার জুলফিক্কার আলী জানান,
আমরা পরিবারের সদস্যরা পালাক্রমে গরু পাহাড়া দেই। একজন ঘুমাই, অন্য একজন
জেগে থাকি। আমরা এসব চোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য দাবাী
জানাচ্ছি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বছির আহমেদ বাদল জানান, আমরা চুরি হওয়ার
ঘটনাটি জানার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি
চোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন