জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি)। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ফারুক হোসেন।
তিনি বলেন, জামায়াতের আমির ডা. শফিককে গ্রেপ্তার করেছে সিটিটিসি। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।
এ বিষয়ে সিটিটিসি প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান জানান, গতকাল রাতে জামায়াত নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
কোন মামলায় জামায়াতের আমিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য গণমাধ্যমকে জানানো হবে দ্রুত।
এদিকে দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিমের দাবি, জামায়াতের আমিরকে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর উত্তরা থেকে সাদা পোশাকে পুলিশের একটি দল আটক করে নিয়ে যায়।
জামায়াত আমিরের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আজ সকালে রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছে মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামী।
কী অভিযোগ বা কোন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এ ব্যাপারে একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
জামায়াতে ইসলামী বলছে, শফিকুর রহমানকে নিয়ে যাওয়ার সময় ডিবি পরিচয় দেওয়া লোকজন বাসা তছনছ করেন। বাসার সবার মুঠোফোন কেড়ে নেওয়া হয়।
১০ ডিসেম্বর রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে ঢাকার বিভাগীয় গণসমাবেশে ১০ দফা দাবি দেয় বিএনপি। একই দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
জামায়াতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে প্রচণ্ড অস্থির করে তুলেছে। এ জন্যই তারা জামায়াতের আমিরকে তুলে নিয়ে গেছে। এটা চরম অন্যায়, রাজনৈতিক দেউলিয়া ও বাড়াবাড়ি। অপমানজনক পরাজয়ের মধ্য দিয়ে সরকারকে চূড়ান্ত জবাব দেবে জনগণ।
২০১৯ সালে জামায়াতের আমির হন শফিকুর রহমান। তাঁর বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নে। তিনি সিলেট মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। একসময় ছাত্রশিবিরের সিলেট শহর শাখার সভাপতি ছিলেন তিনি।
জামায়াতের নায়েবে আমির শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ অনেক নেতা বিভিন্ন মামলায় এখন কারাগারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন