মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

ভাঙন শঙ্কায় হাজারো ঘরবাড়ি

আশ্রয়ণ প্রকল্পের নামে কুশিয়ারা নদী থেকে বালু তুলে বিক্রি

মোহাম্মদ গৌসুজ্জামান, রাজনগর (মৌলভীবাজার) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

মৌলভীবাজারের রাজনগরে আশ্রয়ন প্রকল্পের নামে কুশিয়ারা নদী থেকে বালু তুলে অন্যত্র বিক্রি করছে একটি চক্র। প্রশাসনের কাধে ভর করে লাখ লাখ ঘনফুট বালু তুলে আশ্রয়ন প্রকল্পের পাশাপাশি অগোচরে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কুশিয়ারা নদী থেকে বালু তুলায় একদিকে যেমন বিঘ্নিত হবে নদীর প্রবাহ, তেমনি ভাঙনের মুখে পড়েছে কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী রাজনগর ও বালাগঞ্জ উপজেলার হাজারো বাড়ি ঘর। এতে ভূমিহীন হচ্ছে শত শত পরিবার।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলা ও সিলেট জেলার বালাগঞ্জ উপজেলার মধ্যবর্তী কুশিয়ারা নদী থেকে দীর্ঘ দিন থেকে পাউবোর একটি চুক্তিকে পুঁজি করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেছিল একটি চক্র। রাজনগর উপজেলার সাবেক ইউএনও এদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেয়ায় চুরি বন্ধ হয়েছিল। সম্প্রতি আবারো শুরু হয় বালু চুরি। লিটন নামে ওই ব্যক্তি ভোর অথবা সন্ধ্যা রাতে বালু তুলে পালিয়ে যেত। রাজনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কয়েকবার অভিযানও চালান। জেল জরিমানাও করেন। কিন্তু গত কয়েকদিন থেকে উপজেলার আব্দুল্লাহপুর জাহিদপুর এলাকা থেকে প্রকাশ্যেই বালু তুলছে জাহাঙ্গীর নামে অপর ব্যক্তি। তিনি বলছেন, ফতেহপুর ইউনিয়নে আশ্রয়ন প্রকল্পের ৪৭টি ঘর নির্মাণের জন্য বেশ কিছু জমি ভরাট করা প্রয়োজন। এতে প্রায় ৩ লাখ ঘণফুট বালুর প্রয়োজন। এদিকে ওই প্রকল্পের ভরাটের দোহাই দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে বালু বিক্রি করছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, এমনিতেই তাদের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে, অপরিকল্পিতভাবে এভাবে বালু তুলার ফলে তাদের ঘরবাড়ি আরো ভাঙনের মুখে পড়বে।
আশ্রয়ন প্রকল্পে বালু তুলার দায়িত্বে থাকা বালাগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য জাহাঙ্গীর বলেন, প্রকল্পে মাটি দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। আমরা সেখানেই মাটি দিচ্ছি।
রাজনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সানজিদা আক্তার জানান, আশ্রয়নের জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়ের অনুমতি নিয়ে তুলা হচ্ছে। মাটি ও বালু ব্যবস্থাপনা আইনেই বলা আছে সরকারি কাজে প্রয়োজন মতো বালুমাটি তোলা যাবে। মাটি তুলা হচ্ছে সরকারি কাজে। বাইরে বিক্রি করা যাবে না।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান জানান, ইউএনওকে সরকারি কাজে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু তুলার অনুমোদন দেয়া হচ্ছে। সরকারি কাজের বাইরে অন্যত্র বিক্রির অনুমোদন নেই। বাইরে বিক্রির ব্যাপারে বলেন, বিক্রির সুযোগ নেই। আমি বিষয়টি দেখছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন