শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

তৃতীয় দফায় মির্জা ফখরুল-আব্বাসের জামিন আবেদন নাকচ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

তৃতীয়বার নাকচ হয়ে গেছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন। গতকাল বৃহস্পতিবার জামিন আবেদনের শুনানি করে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন এ আদেশ দেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাস গত ৯ ডিসেম্বর গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে কারাগারে আছেন। এর আগে দুই দফা তাদের জামিন আবেদন নাকচ করেছিল হাকিম আদালত। তাদের আইনজীবীরা বুধবার আবারও জামিন চেয়ে বিশেষ আবেদন করেছিলেন। গতকাল সে বিষয়ে শুনানি হয়। বিএনপি নেতাদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ এবং মহিউদ্দিন চৌধুরী।

অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে পিপি আবদুল্লাহ আবু ও আজাদ রহমান জামিনের বিরোধিতা করে যুক্তি দেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নাকচ করে আদেশ দেন।
শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, একই অভিযোগে এজাহারনামীয় আসামি আমানউল্লাহ আমান, আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল জামিনে রয়েছেন; সুতরাং আসামিদের জামিন দেওয়া যেতে পারে।
আইনজীবীরা উচ্চ আদালতের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত তুলে ধরে শুনানিতে বলেন, মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস এ মামলায় সন্দেহভাজন আসামি। ঘটনার সময় তারা পুলিশের সঙ্গে ছিলেন, পরে তারা সমাবেশের জায়গা দেখতে যান। এজাহারের একজন আসামি ইউনুস মৃধা ঘটনার সময় কারাগারে ছিলেন। অথচ তাকে এজহারে নাম দেওয়া হয়েছে ঘটনার সঙ্গে জড়িত দেখিয়ে।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আসামিদের সামাজিক, জাতীয় ও রাজনৈতিদক পরিচয় তুলে ধরেন। এর বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান কৌঁসুলি আবদুল্লাহ আবু বলেন, পুলিশের উপর হামলা চালানো হয় ওই দুই আসামির ‘নির্দেশে’। এ মামলার অন্য ৬০ আসামির জামিন শুনানির জন্য আগামী রোববার দিন রাখা ধার্য রেখেছে আদালত।

গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু ও শতাধিক আহত হয়। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে হাতবোমা ছোড়া হয়েছে অভিযোগ তুলে তখন ওই কার্যালয়ের ভেতরে অভিযান চালায় পুলিশ, গ্রেফতার করা হয় সাড়ে ৪শ নেতাকর্মীকে। মামলা করা হয় একাধিক। ৯ ডিসেম্বর ভোর রাতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে তাদের বাড়ি থেকে তুলে আনা হয়। পুলিশের উপর হামলা ও উস্কানি দেওয়ার মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে পাঠানো হয় আদালতে। আদালতে তাদের পক্ষে জামিন আবেদন হলেও তা নাকচ করে পাঠানো হয় কারাগারে। এরপর ১২ ডিসেম্বরও তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন