শীতের কুয়াশার চাদরে ঢাকা কলারোয়ার দিগন্ত জোড়া মাঠ ক্রমান্বয়ে হলুদের চাদরে ঢাকা পড়তে শুরু করেছে। রাত গড়িয়ে সকালে দেখা মিলছে নতুন নতুন ক্ষেতে হলুদ ফুলের সমারোহ। শিশির ভেজা শীতের সকালে সোনা ঝরা রোদের সোনালী আভায় সবুজ সরিষা পাতার মাঝে থোকা থোকা হলুদ ফুলে এক স্বপ্নীল মোহময় পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এর মাঝে গুণ গুণিয়ে গান গেয়ে মধু আহরণে ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছে মৌমাছিরা। আবার সূর্যাস্তের মোহময় গোধুলি বেলায় মোনোলোভা বর্ণিল সাজ ধীরে ধীরে আধারে মিলিয়ে যাচ্ছে। ঝিমিয়ে পড়ছে মৌমাছির মধুময় গানের আবেশ। কিন্তু পরদিনে নতুন সূর্য বয়ে আনছে আবার সেই মনোলোভা দৃশ্য। এমন অনাবিল পরিবেশে সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহের জন্য মৌচাষিরা বক্স বসাতে শুরু করেছে। এবার বৃষ্টিপাত কম হওয়ার কারণে ধান কাটার সময় অধিকাংশ জমিতে জো এসে পড়ে। ক্ষেত থেকে ধান তুলে জমি চাষ করে কৃষকরা সরিষা বীজ বপন করে। বৃষ্টিপাত কম হওয়ার জন্য নিচু অঞ্চলের নতুন নতুন জমিতে এবার সরিষা চাষ করা হয়েছে বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হোসেন। তাই ৬ হাজার ৫শ’ হেক্টর চাষের চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে সরিষা চাষ হয়েছে ৬ হাজার ৭শ’ হেক্টর জমিতে। কৃষকরা এখন সরিষার পরিচর্য়ায় ব্যস্ত সময় পার করছে। খরা জনিত কারণে ক্ষেতে রসের অভাব দেখা দিয়েছে। পানির অভাবে সরিষা গাছের বৃদ্ধি ব্যহত হচ্ছে। তাই উচু, মাঝারি উচু জমিতে কৃষকরা সেচ দিয়ে সার প্রয়োগ করছে। কোথাও থিওভিট ও ইউরিয়া সার স্প্রে করে পরিচর্যা করছে। সরিষা চাষে শীত অপরিহার্য। মোটামুটি শীত আর কৃষকের পরিচর্যায় লকলকিয়ে বেড়ে উঠছে সরিষা। ক্রমান্বয়ে সোনালী হলুদের চাদরে ঢাকা পড়ছে কলারোয়ার প্রান্তর। অপরুপ মনোমুগ্ধকর সেই দৃশ্য চোখে না দেখলে অপূর্ণ থেকে যায় জীবনে...। এদিকে সরিষা চাষ কৃষকের মনে দোলা খাচ্ছে সোনালী স্বপ্ন। কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে এবার কলারোয়ার চাষিরা সরিষার বাম্পার ফলন আশা করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন