সরকার দেশের নদী-নালা, খাল-বিল, হাওর খননের মাধ্যমে পানি নিস্কাশন ব্যবস্থায় নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কিন্তু এক শ্রেণীর অসাধু, ভূমি খেকু দুনীতিবাজরা সরকারের এই উদ্যোগকে ব্যহত করতে দেশের নানা প্রান্তে নদী-নালা, খাল-বিল, ভরাট করে নির্মাণ করছেন স্থায়ী স্থাপনা। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলেও টাকার কাছে হেরে যান সচেতন নাগরিকরা। এতে বিশেষ করে ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে কৃষি সম্পদ। সিলেট জেলার বিশ^নাথের বুক চিরে বয়ে গেছে বাসিয়া নদী। এ নদী থেকে একটি খাল বিশ^নাথ জানাইয়া, গড়গাঁও, কাদিপুর, রামপাশা হয়ে খাজাঞ্চি নদীতে গিয়ে মিলিত হয়েছে। কিন্তু প্রভাবশালিরা এই খালটি ভরাট করে পানির নিস্কাশনের ব্যবস্থা অনেক জায়গায় একেবারেই বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে চলতি মৌসুম পানির অভাবে মারাত্মক ব্যঘাত ঘটছে। পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা বন্ধ হওয়ায় এবছর বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছে বিশ^নাথ বাসির।
সিলেটের বিশ^নাথ উপজেলার রামপাশা বাজারের দক্ষিনে আশুগঞ্জ বাজার রোডের পাশে বাড়ি নির্মানের জন্য এক প্রভাবশালি সরকারি খালের প্রায় ১০/১২ শতক জায়গা, পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ করে ড্রেন নির্মাণ করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রকাশ্যে বহু শ্রমিক দিয়ে দ্রুত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে কাজের ঠিকাদার খালিছ মিয়া। প্রভাবশালি এই ব্যক্তির নাম তারেক চৌধুরী। তিনি সিলেট জিন্দাবাজারের বাসিন্ধা। তারেক চৌধুরী একজন যুক্তরাজ্য প্রবাসি। তিনি মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের জানান, এই জায়গা তিনি সিলেট সড়ক ও জনপদ বিভাগের কাছ থেকে ২০১০ সালে লীজ নিয়েছেন। তাই তিনি ড্রেন নির্মাণ করছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিনি সড়ক ও জনপদ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে অবহিত করেছেন। তারা ইউএনওকে বলেছেন, লীজের বিষয়টি সঠিক আছে, তবে, কি ধরনের লীজ দেয়া হয়েছে তা জানতে সময়ের প্রয়োজন। এরপরও ইউএনও বিশ্বনাথ থানার ওসিকে বলেছেন কাজ বন্ধ রাখার জন্য। ওসি গাজি আতাউর রহমান জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন