শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

একই রাতে তিন বাড়িতে দুর্বৃত্তদের হানা : টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট

আরিচা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২০ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০২ এএম

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে একই রাতে তিন বাড়িতে দুর্বৃত্তরা হানা দিয়ে ঘরের তালা, দরজা, জানালা ভেঙে জোরপূর্বক টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় একই পরিবারের পাঁচজন সাময়িক অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এতে স্থানীয়দের মাঝে চরম আতংক বিরাজ করছে। যার যার মতো সর্তক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। গত রোববার দিনগত রাতে শিবালয় উপজেলার তেওতা ইউনিয়নের কৃঞ্চপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তরা যে সকল বাড়িতে লুট করেছে, তারা ওইসব বাড়ির টিউবওয়েলের পানি বা খাবারের সাথে চেতনা নাশক ওষুধ মিশিয়ে রেখেছিল। ফলে ওইসব বাড়ির লোকজন অসুস্থ এবং অচেত হয়ে পড়ে। এ সুযোগে দুর্বত্তরা ঘরের তালা, দরজা, জানালা ভেঙে ঘরে ঢুকে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায় বলে ধারনা করছেন স্থানীয়রা। কৃঞ্চপুর গ্রামের মো. সায়েদুর রহমান বলেন, গত রবিবার দুপুরের খাবার খেয়ে বাড়ির পাশে সরিষা ক্ষেত দেখতে গিয়ে মাথা ঘুরে পড়ে যান। দ্রুত বাড়িতে এসে শুয়ে পড়েন তিনি। এসময় তার স্ত্রী, ছেলে ও কলেজ পড়ুয়া দুই মেয়েও ঘুমিয়ে পড়ে। বিষয়টি তার সন্দেহ হলে সে তার আত্মীয়-স্বজন এবং থানায় ফোন করে পুলিশকে জানান। পুলিশ তার বাড়িতে গিয়ে তাদেরকে সর্তক থাকার পরামর্শ দেন। রাতে তার ভাগিনা, শ্যালক, চাচাতো ভাই পাহাড়ায় থাকেন। কিন্তু রাত তিনটার দিকে তারাও ঘুমিয়ে পড়েন। এ সুযোগে দুর্বৃত্তরা ঘরের বেড়া কেটে দরজা খুলে ঘরে রাখা নগদ ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা এবং ৪ ভরি স্বার্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। একই রাতে একই গ্রামের মো. আব্দুল বাতেনের বাড়ির ঘরের তালা ভেঙে, জানালার গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে ভয় ভীতি দেখিয়ে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। বাতেনের মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিগার সুলতানা বাবলি জানান, ঘটনার রাতে তার মা, নানু, নানা চার জন বাসায় ছিলেন। রাত অনুমান আড়াইটার দিকে তিনজন দুর্বৃত্ত দেশিয় অস্ত্র নিয়ে এসে তালা ভেঙে জানালার গ্রিল কেটে ঘরে প্রবেশ করে আমাদেরকে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। এসময় নগদ ৩০/৩৫ হাজার টাকা, প্রায় ৪ভরি স্বর্ণালংকার এবং আমার শখের ৯০ হাজার টাকা মূল্যের একটি ক্যানন ক্যামেরা লুট করে নিয়ে যায়। এসময় আমার মাথা ঘুরাছিল, আমার মা, নানু ও নানা অসুস্থবোধ করছিল।
একই গ্রামের মো. আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতেও হানা দেয় দুবৃত্তরা। তবে ওই বাড়ির লোকজন সজাগ হয়ে যাওয়ার কারণে কোন কিছুই নিতে পারেনি তারা।
শিবালয় থানার ওসি (তদন্ত) শেখ ফরিদ আহমেদ ঘটনার সতত্য শিকার করে বলেন, এ বিষয়ে থানায় দু’টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমরা তদন্ত করে দেখছি। থানা পুলিশের পক্ষ থেকে সর্তকও থাকতে বলা হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন