গত ২০২১-২২ইং অর্থ বছরে নবগঠিত সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার বিভিন্ন উন্নয়ন খাতের ৭৯ লাখ ৬৪ হাজার টাকা বরাদ্ধ হয়েছে। বরাদ্ধকৃত দুটি প্রকল্প থেকে ডেঙ্গু মশক নিধন, লার্ভা নাশক ওষুধ সরবরাহকরন ও বিভিন্ন ওয়ার্ডে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনায় ৫ লাখ ১৪ হাজার টাকা এবং তিন লেয়ার কাপড়ের মাস্ক, সার্জিক্যাল মাস্ক, সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ক্রয় ও বিতরণে দেখানো হয়েছে ৫ লাখ ৯২ হাজার টাকা। বাকি ৬৮ লাখ ৫৮ হাজার টাকার হিসাব প্রায় গায়েব। সদ্য সাবেক পৌর প্রশাসকের কাছে প্রথমে মৌখিক পরে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেও বরাদ্দের তালিকা পাওয়া যায়নি। তবে, যে দুটি প্রকল্পের তালিকা পাওয়া গেছে, ব্যয় নিয়ে সহায়ক কমিটির কিছু সদস্যদের মধ্যে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ফারজানা মান্নান স্বাক্ষরিত অর্থ অবমুক্তকরণ এক পত্র থেকে জানা যায় ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে ‘উন্নয়ন সহায়তা থোক বরাদ্দ খাত’ ‘পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ও প্রচার’ ‘ডেঙ্গু মশক নিধন’ ‘করোনা’ মোকাবেলা উপখাতে মোট বরাদ্দ করা হয়েছে ৭৯ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। সচিবালয়ের অবমুক্তকরন এই পত্র পাওয়ার পর প্রথমে মৌখিকভাবে পৌর প্রশাসকের কাছে প্রকল্পসহ ব্যয়ের তালিকা চাওয়া হয়। তিনি তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করতে হবে এমনটাই জানান। গত ২১ নভেম্বর প্রশাসক বরাবরে আবেদন করা হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে গেল ৩০ নভেম্বর, ডেঙ্গু মশক নিধন, লার্ভা নাশক ওষুধ সরবরাহকরন এবং বিভিন্ন ওয়ার্ডে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা’ ‘তিন লেয়ার কাপড়ের মাস্ক, সার্জিক্যাল মাস্ক, সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ক্রয় ও বিতরনসহ এই দুটি প্রকল্পের নামসহ বরাদ্দ ও ব্যয়ের তালিকা দেয়া হয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেও বরাদ্দের প্রকল্প ও ব্যয়ের তালিকা দেয়া হয়নি।
জানতে চাইলে সদ্য সাবেক পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান বলেন, ফের তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করতে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন