ড্রামট্রাকের দখলে এখন টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু-তারাকান্দি মহাসড়ক। ফলে প্রতিনিয়ত চরম জনদুর্ভোগ পোঁহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের। লাইসেন্স বিহীন অদক্ষ অপ্রাপ্ত বয়স্ক চালক ও হেলপাররা বেপরোয়া গতিতে ট্রাক চালানোর কারণে প্রতিনিয়ত সড়কে ঘটছে দুর্ঘটনা। ঘটছে প্রাণহানি। বেশির ভাগ ড্রামট্রাকের নম্বর না থাকায় দুর্ঘটনা ঘটিয়ে চালক ও হেলপাররা পালিয়ে যাওযায় ঘাতকদের শনাক্ত করা সম্ভব হয় না। স্থানীয়রা জানান, বঙ্গবন্ধু সেতু-ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কে এসব বালুবাহী ট্রাক অবাধে চলাচলের ফলে বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সড়ক সংস্কারে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ও গচ্ছা যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থেকে তারাকান্দি সড়কের ভরুয়া পর্যন্ত অর্ধশত বালুরঘাট রয়েছে। এসব সড়কে গত দুই মাসে কমপক্ষে ১৫-২০টি স্থানে দুর্ঘটনা ঘটেছে। তন্মধ্যে জিগাতলায় বালুঘাটের প্রবেশ পথ এলাকায় কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ড্রামট্রাক-মোটরসাইকেল দুর্ঘনার কবলে পড়ে ১৫-১৬ জন আরোহী আহত হয়। এরপর তারাকান্দি সড়কের জগৎপুরা এলাকায় ড্রামট্রাকের ধাক্কায় ইন্তিশার ইশরাক (১৯) নামে এক কলেজছাত্র নিহত ও তার বাবা সাঈদসহ অনেকে আহত হয়।
স্থানীয়রা জানান, বালুবাহী ট্রাকের কারণে যানজটের কবলে পড়তে হয়। যত্রতত্র বালুবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে ধুলা বালিতে চোখ-মুখসহ পুরো শরীর নোংরা হয়ে যায়। এছাড়া বেশি ভাগ বালুবাহী ট্রাকে ঢাকনাও ব্যবহার করে না। ধুলার কারণে শ্বাসকষ্টসহ দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ট্রাকে অতিরিক্ত বালু লোডের কারণে সড়কগুলো যেন এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বেলাল হোসেন জানান, সড়কে অবৈধ ড্রামট্রাকসহ অন্যান্য ট্রাক চলাচলে সর্তক রয়েছে প্রশাসন। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা সভায় আলোচনা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন